হেলাল উদ্দীন, বাগমারা রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় নিম্ন আদালতের সাজা প্রাপ্ত আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারো জোর পূর্বক জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
আদালতের মামলা ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের কামারবাড়ী গ্রামের মবুল হোসেনের জমি একই গ্রামের আব্দুল মজিদ, ওয়াহেদ আলী, রুবেল হোসেন ও আনোয়ারা বিবি জোরপূর্বক দখলের মাধ্যমে ভোগদখল শুরু করেন। জমি দখলের বিরুদ্ধে মকবুল হোসেন গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজশাহীর সহকারী জজ আদালতের উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত দখলকৃত জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
আসামী দ্বয় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিটি দখলের চেষ্টা করেন। আদালত বিষয়টি অবগত হয়ে চলতি বছরের ১৭ মে উপরোক্ত আসামীদের আদালত অবমাননার দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। গত ৩ আগষ্ট সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের বাগমারা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। ১৩ আগষ্ট আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারো ওই জমি দখল করে নেয়।
মামলার বাদী মকবুল হোসেন জমি দখলে বাধা দিতে গেলে আসামীরা তাকে ধাওয়া করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। ওই ঘটনায় মকবুল হোসেন আসামীদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য বাগমারা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাদেকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনার সত্যতা পান। তিনি বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করবেন বলে জানান।
জামিনে বেরিয়ে এসে জমি দখলের ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকার সাধারন মানুষ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেব খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।