অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ। ভিন্ন সাজে সেজেছে খুলনা মহানগরীর প্রতিটি এলাকা। তোরণ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে গোটা নগরী।
ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ। রাতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে টিভি স্ক্রিন। এসব টিভি স্ক্রিনে মহাসমাবেশ সরাসরি সম্প্রচার হবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পুরো নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ আওয়ামী লীগের নেতারা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ইতোমধ্যে দফায় দফায় মূল দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার এসে প্রস্তুতি দেখে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, জনসভাকে ঘিরে খুলনা বিভাগজুড়ে আজ উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতার পর খুলনার এই জনসভা বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তর জনসভায় রূপান্তরিত হবে বলে আশা করি।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, সার্কিট হাউস ময়দান পুরাটাই নারীরা থাকবেন আর শহরজুড়ে দলের পুরুষ নেতাকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন স্থানে টিভি স্ক্রিনে মহাসমাবেশ সরাসরি সম্প্রচার হবে।
এদিকে কেএমপির বয়রা পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ডিউটিতে মোতায়েনকৃত অফিসার ও ফোর্সের উদ্দেশ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সময়ে করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রত্যেককে শতভাগ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ডিউটি পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সড়কপথের পাশাপাশি নৌ পথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নৌ-পুলিশকে ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।