অনলাইন ডেস্ক: অক্টোবরের ৭ তারিখ হামাসের হামলার সময় অপহৃত আরও ১২ বন্দিকে মঙ্গলবার ছেড়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ সময় ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এটি ছিল পঞ্চম বন্দি বিনিময়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ১০ ইসরাইলি এবং ২ থাই নাগরিককে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
চলমান পরিস্থিতিতে গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিরা আশা করছেন ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরোধী আরও বাড়বে। কারণ, ইজরায়েলি বোমা হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ প্রয়োজন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নারীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। মঙ্গলবার একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই ৭ অক্টোবরের পর আটক করা হয়েছে বলে।
এর আগে আনাদোলুকে প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটির (পিপিএস) মিডিয়া অফিসার আমাল সারাহনেহ বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৭ অক্টোবরের পরে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বড় ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। এসময় ৫৬ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীকে আটক করা হয়। এখনও ৩২৬০ জনকে আটক করা হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আরও দুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। একই শর্ত অনুসারে অস্থায়ী মানবিক এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার এবং মিসর।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার জানিয়েছিলেন, উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে তার প্রশাসনের কোনো আপত্তি নেই। তবে এ জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এক দিন মেয়াদ বাড়াতে ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।