স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩৬৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বগুড়া-৭ আসনে। সবচেয়ে কম ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে।
উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। আচরণবিধি ভেঙ্গে অতিরিক্ত জনসমাগমও করেন অনেকে।
রাজশাহী বিভাগের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি দলটির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, জয়পুরহাট-১ আসনে ১০ জন, জয়পুরহাট-২ আসনে ৯ জন, বগুড়া-১ আসনে ১২ জন, বগুড়া-২ আসনে ১০ জন, বগুড়া-৩ আসনে ১৬ জন, বগুড়া-৪ আসনে ১০ জন, বগুড়া-৫ আসনে ৮ জন, বগুড়া-৬ আসনে ৮ জন, বগুড়া- ৭ আসনে ২৫ জন নিজেদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ৭ জন, নওগাঁ-১ আসনে ৬ জন, নওগাঁ-২ আসনে ৯ জন, নওগাঁ-৩ আসনে ১১ জন, নওগাঁ-৪ আসনে ১০ জন, নওগাঁ-৫ আসনে ৭ জন, নওগাঁ-৬ আসনে ১২ জন, রাজশাহী-১ আসনে ১১ জন, রাজশাহী-২ আসনে ১৩ জন, রাজশাহী-৩ আসনে ১১ জন, রাজশাহী-৪ আসনে ৭ জন, রাজশাহী-৫ আসনে ৭ জন ও রাজশাহী-৬ আসনে ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নাটোরের আসনগুলোর মধ্যে নাটোর-১ আসনে ১৪ জন, নাটোর-২ আসনে ৬ জন, নাটোর-৩ আসনে ১২ জন, নাটোর-৪ আসনে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৭ জন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ৫ জন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ১১ জন, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ৪ জন, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ৭ জন, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে ৯ জন, পাবনা-১ আসনে ৭ জন, পাবনা-২ আসনে ৯ জন, পাবনা-৩ আসনে ৯ জন, পাবনা-৪ আসনে ৬ জন ও পাবনা-৫ আসনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৈধ প্রার্থীরা আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।