বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ ভুক্তভোগীদের । উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চাঁইসারা গ্রামে গত দেড় মাস আগে পানবরজ কাটা, দীঘিতে বিষ প্রয়োগ, সর্বশেষে বাদী সুলতান এর বসতবাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়। মামলা তিনটিতে আসামি ওই একই গ্রামের মাসুদ রানা (৩৮)পিতা শুকুর আলী, আব্দুল হামিদ (৫২) পিতা মৃত মহর,জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ,আরিফ হোসেন(৩৪) উভয়ের পিতা মৃত সিদ্দিক হোসেন মোল্লা,বাবুল হোসেন(৪২) পিতা আঃ রহমান সহ সাতজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উভয় পক্ষের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর একটি দীঘিতে কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এর মাস খানেক পর বাদীর বসত বাড়িতে কে বা কাহারা আগুন দিয়ে আবার ক্ষতিগ্রস্ত করে এ ঘটনার জেরে বাদী মোঃ সুলতান হোসেন (৩৭) পিতা এমাজউদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে পরপর তিনটি উপরোক্ত আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদী মাসুদ রানা, আরিফ হোসেন, জাহাঙ্গীর, আঃ হামিদ, বাবুল সহ প্রায় ৭ জন আসামি গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি তাদেরকে অযথাই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা আরো বলেছেন, জমিজমা সংক্রান্ত যে ঝামেলা ছিল সেটি মীমাংসা হওয়ার পরও তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ায়।
আসামি আরিফ হোসেন ও আঃ হামিদ জানান,কে বা কাহারা তার দিঘিতে বিষ প্রয়োগ করলে তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে।এরপর নিজেরাই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে সেটির দায়ভারও আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে এবং কোর্টে মামলা করেছে। আমরা কোন অন্যায় করিনি আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
আমাদের পরিবার এবং সংসার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে লিপ্ত হয়েছে সুলতান এবং তার পিতা এমাজউদ্দিন মোল্লা।আমরা এই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং মিথ্যা মামলা যেন পরিহার করা হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।আমাদেরকে সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে সমাজে বসবাস করার সুযোগ দিন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাদীর বাড়ির পাশেই পান বরজসহ খড়কুটোই আগুন জ্বালানোর চিত্র লক্ষ্য করা যায় এবং বাড়ির কিছু অংশ পোড়া পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেলও পোড়া অবস্থায় দেখা যায়।
বাদী সুলতানের পিতা এমাজউদ্দিন জানান, জমি জমা সংক্রান্ত জের ধরে বিবাদীরা প্রথমে আমার পানবরজ কেটে ফেলে তারপর তারা আমার দীঘিতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এর মাস খানেক পর আবারও আমার বাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয় তারা। আমাকে মূলত ধ্বংস করার জন্য এবং এখান থেকে উৎখাত করার জন্যই এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা। আমি এর সুষ্ঠু ফায়সালার জন্যই কোর্টে মামলা করেছি এবং কোর্টের মাধ্যমেই এর ফায়সালা হবে ইনশাল্লাহ।