স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ১১ জন তরুণ ও ১১ জন তরুণীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর গণকপাড়া এলাকায় হোটেল গ্র্যান্ডে এই অভিযান চালানো হয়।
আবাসিক হোটেলটির মালিকের নাম আবুল বাশার সুজন। তিনি রাজশাহীর তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিনি। ওমর ফারুক চৌধুরী কয়েকমাস আগে তাকে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেন। এছাড়া দুটি স্কুল ও একটি মাদ্রাসার সভাপতি এবং একটি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য করা হয়েছে আবুল বাশার সুজনকে। এই সুজনকেই তানোর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তবে সুজন মনোনয়ন পাননি।
অভিযোগ রয়েছে, দলীয় প্রভাবে তানোর উপজেলায় সমস্ত স্কুল-কলেজে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেন আবুল বাশার সুজন। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারাও নেন তিনি। প্রতিরাতে তার আবাসিক হোটেলে চলত অসামাজিক কার্যকলাপও। এই হোটেলে রমরমা মাদক কারবার চলত। তবে হোটেলটিতে অভিযানের পর গা-ঢাকা দিয়েছেন এর মালিক সুজন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম জানান, হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ পেয়ে রাতে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অভিযান চালান। এ সময় হোটেলটি থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এই শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করে। আটক ২২ জনের মধ্যে ১১ জন তরুণ ও ১১ জন তরুণী। এছাড়া হোটেল থেকে এর ব্যবস্থাপকসহ আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযানের পর থেকে হোটেল মালিকও গা ঢাকা দিয়েছেন। তার সন্ধান চলছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আবাসিক হোটেলটির মালিক ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার সুজনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে মোবাইলের সংযোগ পাওয়া যায়নি।