স্টাফ রিপোর্টার: উচ্চতা৩ ফুট ২ ইঞ্চি। নামমাসুরা বেগম। একসন্তানের এই মায়ের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বজরপুর গ্রামে। মাসুরা কেবলা হয়‘এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মা’।ভ্যান চালক স্বামী আর মাসুরার স্বপ্ন ছিল নিজের একটা বাড়ি। মুজিববর্ষে সেই বাড়ি তাদের দিয়েছে সরকার। ভ্যানচালক স্বামীকে সহযোগিতায় মাসুরার স্বপ্ন ছিল নিজে একটা দোকান করার।
এবার সেই স্বপ্নও পূরণ হচ্ছে মাসুরার। তার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে ডেকে মাসুরার হাতে রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দোকান করার জন্য ৫০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার কথা জানান সংগঠনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ সময় প্রথম দফায় তাকে ২৫ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয়।
রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, নির্বাহী সদস্য আকবারুল হাসান মিল্লাত মাসুরার স্বামী মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিল নিরুল ও মাসুরার আট বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম খাতুনও।
এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাসুরাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া মুজিববর্ষে তাদের একটি বাড়িও করে দেওয়া হয়েছে। আগে তারা চাচার জমিতে ছোট্ট বাড়ি করে বাস করত।
জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মামাসুরার মাথা গোঁজার ঠাঁই ও কর্মসংস্থানের আবদার ছিল।
ইতোমধ্যে পবায় বজরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি সুন্দর পাকাবাড়ি দেয়া হয়েছে। সেখানে সে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করছে।আজকে তার কর্মসংস্থানের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও ২৫ হাজার দেওয়া হবে ব্যবসা শুরুকরার পর।