স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর-৪ বাগমারায় নৌকা মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এর সমর্থক ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের নেতৃত্বে কাঁচি প্রতিকের প্রার্থী এনামুল হক এমপির সমর্থকদের উপর হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেঁউখালী গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, এমপি এনামুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউর রহমান, গোলাম মন্ডল, আয়ুব আলী ও শরিফ উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়,এমপি এনামুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে কয়েক জন মিলে কাঁচি মার্কার পোস্টার লাগাচ্ছিলেন।
ঠিক তখনই গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারসহ তার ছেলে শাওন, গোয়ালকান্দি গ্রামের রাজ্জাক মোল্লার ছেলে জোহান, একই গ্রামের গ্রাম পুলিশ কামরুল ইসলাম, রামরামা গ্রামের সোহেল, পিতা শহিদুল, জাকির হোসেন, রাব্বি, রিপন খরাদী, সজল সরদার, সাগর সহ অর্ধ শতাধিক ক্যাডার পিস্তল ও লোহার রড হাতে ঘটনাস্থলে এসে এমপির পিএস আতাউরসহ পোস্টার লাগানো কাঁচি মার্কার কর্মী সর্র্মথকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার বলতে থাকেন,গোয়ালকান্দিতে নৌকা ছাড়া কোন কথা হবে না বলেই হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন শুভ বলেন, আলমগীর সরকার ও তার ছেলে শাওন সরকার,রাজু সরকার,সহ আরও অনেকে পিস্তল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।হামলার সময় নৌকা মনোনীত প্রার্থীর মিসেস খন্দকার শায়লা পারভিনও উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কাঁচি মার্কার প্রার্থী এনামুল হক এমপি বলেন, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমার নেতা কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা করেই যাচ্ছে কালামের ক্যাডার বাহিনী। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে যাওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হবে।
হামলার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরিবিন্দ সরকার বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে কারও ছাড় নেই। উপজেলা জুড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।