চারঘাট প্রতিনিধি : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে রাজশাহীর চারঘাটে বুধবার ৫ জুন ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী অংশ গ্রহন না করায় লড়াই হবে আওয়ামীলীগের সঙ্গে আওয়ামীলীগের। অন্য কোন দলের প্রার্থী অংশ গ্রহন না করলেও আওয়ামীলীগের ৩ হেভিওয়েট প্রার্থী লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ ফকরুল ইসলাম (আনারস)। তার শক্ত প্রতিদন্দী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব (ঘোড়া) প্রতীক ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন (মোটর সাইকেল) প্রতীক। এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী বলে ধারনা স্থানীয় ভোটারদের।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তবে দলীয় বেশিরভাগ নেতাকর্মী বর্তমান চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলামের পক্ষে মাঠে ময়দানে কাজ করলেও সাবেক সাংসদ আলহাজ রায়হানুল হক মাঠে ময়দানে ছুটছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়ার পক্ষে। অপর দিকে অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন (মোটর সাইকেল) প্রতীক নিয়ে সাবেক ও বর্তমান আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন। সার্বিক দিক দিয়ে এবারের চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখি। চারঘাট উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১লাখ ৮০ হাজার ৪০৩ জন। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্ষন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহন। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সকল প্রস্ততি,কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার সাইদা খানম জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সকল প্রস্ততি,কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ৬৩ টি ভোট কেন্দ্রে শান্তি পুর্ণ ভাবে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন এ জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ৭ জন,মোবাইল টিম ৭টা,বিজিবি টিম ৪টা,র্যাব টিম ২টা,পুলিশ স্ট্রাইকিং ফোর্স ২টা ও আনসার-ভিডিপি ৯শ ৫৭ জন অবাধ,সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটারা ভোট দেয়ার লক্ষে স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়েছে নিচ্ছ্রিদ্র নিরাপত্তা বলয়। এরপরেও ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রকেই গুরুত্ব ঝুকিপুর্ণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহিৃত করেছেন প্রশাসন।