স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের নজরদারি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এ জন্য তাদের প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আরএমপির বেলপুকুর থানায় গত জানুয়ারি থেকে এমন কার্যক্রম শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বেলপুকুর থানায় ৩২ জনের হাজিরা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পঞ্চাশোর্ধ নারীও ছিলেন। এরা বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে। বৃহস্পতিবার থানায় তাদের হাজিরা বইয়ে সই নেওয়া হয়েছে। যারা স্বাক্ষর করতে জানেন না, তাদের টিপসই নেওয়া হয়েছে।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তার থানা এলাকার ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এদের মধ্যে ৩৩ জন থানায় নিয়মিত হাজিরা দেন। এদের একজন বর্তমানে কারাগারে। জামিনে থাকা বাকি ৩২ জন বৃহস্পতিবার থানায় হাজিরা দিয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহেই তাদের থানায় হাজিরা দিতে হয়।
ওসি জানান, যে ৩৪ জন থানায় হাজিরা দেন তাদের মধ্যে চারজন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে তারাও এখন জামিনে আছেন। আর একজনের মামলা এখন তদন্তাধীন। অন্য ২৯ জনের মামলা আদালতে বিচারাধীন। জামিনে থাকা সবাইকেই থানায় আসতে হয়।
ওসি বলেন, এসব আসামিরা জঙ্গিবাদ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করছেন। তাই তাদের ব্যাপারে সব সময় নজরদারি রাখ হয়। এর অংশ হিসেবেই থানায় হাজিরা নেওয়া হয়। তবে এর সঙ্গে আদালতের বিচারাধীন মামলা কিংবা বিচারের কোন সম্পর্ক নেই।
নগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, ‘রাজশাহীতে জঙ্গি মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারটি আমাদের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমেরই অংশ। মডেল হিসেবে আমরা বেলপুকুর থানায় নিয়মিত হাজিরার ব্যবস্থা করেছি। জামিনে মুক্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন এবং আমরাও চাই তারা জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।’