স্টাফ রিপোর্টার: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীল অবস্থায় বন্ধ রয়েছে ট্রেনে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে অলস পড়ে আছে ট্রেনগুলো। এই পরিস্থিতিতে ১১ দিনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ যদিও লোকসান বন্ধে ও যাত্রা সেবা নিশ্চিতে দ্রুত রেল যোগাযোগে চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে চলমান অস্থিরতায় কোটা আন্দোলনের ১১ দিনেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিদিন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে নাশকতা চালানো হয়েছে। এতে পুড়িয়ে দেন বেশ কয়েকটি ট্রেনের বগি। এছাড়া দেশজুড়ে জারি করা কারফিউয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও রেলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পরের দিন ২০ জুলাই থেকে সারাদেশে রেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারপরে থেকে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ৫৬টি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। এছাড়া ৩১টি মেইল ও ১২টি লোকালসহ মোট ৯৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে ৬ জোড়া মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। রেলওয়ের টিকিট বিক্রি ও মালবাহী ট্রেন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল না করায় বন্ধ হয়ে গেছে রেলওয়ে আয়। এতে গত ১১ দিনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালুর বিষয়ে জানাতে চাইলে রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ট্রেন বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে অর্ডার যখনই আসবে তখনই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেলওয়ের ক্ষতি হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রতিদিন ক্ষতি হয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আমি নিজেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এতোগুলো বগি, সেখানে ৪০ থেকে ৫০ জন হামলাকারী আসলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৬ জন কী করতে পারবেন।