অনলাইন ডেস্ক: বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান আনতে হবে এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রতিবাদী নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ও আমাদের করণীয়’—শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘বর্তমান সংবিধান বাতিল করতে হবে। কেননা এটি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সংবিধান। এ সংবিধান তো মেনে নেওয়া যায় না। নতুন সংবিধানের আলোকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে হবে।’ তিনি বলেন, এই ‘রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করিয়ে ড. ইউনূসকে জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানে আমাদের অলিখিত মনোভাবনাগুলো স্থান দিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে এক বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হবে। একটি স্থিতিশীল শৃঙ্খলাপূর্ণ সরকারব্যবস্থা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিলুপ্ত গণতান্ত্রিক কাঠামো ফিরিয়ে আনা সময়সাপেক্ষ হলেও অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলাকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে।’
ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জুলাই-আগস্টে সংগঠিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, বিচারহীনতার ও জবাবদিহি হীনতার সংস্কৃতি দূর করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, দুর্নীতির মূলোৎপাটন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানান।
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সারা বিশ্বে শেখ হাসিনাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাঁকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, ‘আমরা সব উপদেষ্টার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব, জবাবদিহির মধ্যে রাখব।’ সিনিয়র সাংবাদিক এমএ আজিজ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা উপযোগী নয়। এ জন্য শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন করতে হবে। পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব পর্যায়েই সংস্কার করতে হবে।’