স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার গঙ্গা নদীতে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দিয়েছে গত সোমবার। তবে এই গেট খুলে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টাতেও বাড়েনি পানি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রভাবে পদ্মার পানি বিপদসীমাও অতিক্রম করতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগ জানাচ্ছে, দেশের অন্য স্থানে বন্যা হলেও রাজশাহী অঞ্চলে বন্যার পরিস্থিতির আশংকা কম। ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রভাবে এই অঞ্চলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
সোমবার ফারাক্কা ব্যারেজের সবকটি জল কপাট খুলে দিলেও ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর পদ্মায় পানির উচ্চতার কোনো তারতম্য হয়নি। রাজশাহী নগরীর বড়কুটি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির বিপদসীমা ধরা হয় ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ মিটার। ওইদিন সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ২৭ মিটার। ফলে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ২০ মিটার নিচে ছিল।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ছয়টাতেও পানির উচ্চতা একই ছিল। এদিন বিকেল তিনটা ও সন্ধ্যায় ছয়টার দিকে একই উচ্চতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপকারী পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক। তিনি বলেন, সোমবার থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একই উচ্চতা পাওয়া গেছে পানির। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও সে পানি এসে পৌছায়নি। পৌছালে পানি কিছুটা বাড়বে। এবার বিপদসীমা অতিক্রম করার আশংকা আছে। ২০১৩ সালে সর্বশেষ পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর আর তা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, পাবনার পাকশীতে বিপদসীমা ২২ দশমিক ৫০ মিটার। এখানে মঙ্গলবার দুপুরে পানির উচ্চতা পাওয়া ২০ দশমিক ৪৮ মিটার। বিপদসীমার দুই মিটার নিচ দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। পদ্মার সরদহ পয়েন্টে বিপদসীমা ১৬ দশমিক ৯২ মিটার। দুপুরে সেখানে পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৫ দশমিক ৭ মিটার। পদ্মার প্রবেশমুখ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পাঙখা পয়েন্টে বিপদসীমা ২২ দশমিক ৫ মিটার। এখানে মঙ্গলবার দুপুরে ২০ দশমিক ৫৫ মিটার উচ্চতা পাওয়া গেছে। তবে গত সাত দিনে পদ্মার শাখা ও উপশাখা নদীগুলোতে পানি কিছুটা বেড়েছে।