অনলাইন ডেস্ক : মাছ কাটার জন্য ডেকে কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করে অটোচালক। ওই সময় ভিডিও ধারণ করে আরেক যুবক। পরে ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে জিম্মির চেষ্টা করে তারা। গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা দায়েরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ আরেফিন নগরের মুক্তিযোদ্ধা কলোনির মান্নার পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
মামলায় আসামিরা হলেন-মুক্তিযোদ্ধা কলোনি মান্নার পাহাড়ের অটোরিকশা চালক মো. শামীম (৫০), ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারী একই এলাকার হাবিব (৪৬) ও মান্না (৪৮)।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, ‘অন্যের বাসায় কাজ করার জন্য ওই দিন আমি বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। সেদিন আমার স্বামীও ঘরে ছিল না। ঘরে আমার মেয়েকে একা পেয়ে আসামিরা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। মাছ কাটার কথা বলে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে শামীম। এ কাজে সহযোগী ছিল আরও দুজন। সকলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমি চাই আসামিরা সর্বোচ্চ সাজা পাক।’
তিনি বলেন, ‘হাবিব ও মান্না পরস্পর যোগসাজশে আমার মেয়ের ভিড়িও ধারণ করে। আমার মেয়ের সেই ভিডিও দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকাও চায়। আমার একমাত্র ছোট্ট মেয়েটাকে শেষ করে ফেলছে ওরা। আমি তাদের শাস্তি চাই।’
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা কাজে গেলে মেয়েটাকে ঘরে একা পেয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তাকে মাছ কাটার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে যায় শামীম। পরে তার হাত, পা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরে দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করানো হয়। ওই সময় আসামিরা ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ওসি আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা দ্রুত থানায় মামলা নিই। বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। যেকোনো মূল্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’