অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু । ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রী রেজওয়ানা নুর, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র সিনিয়র বিশেষ জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
দুদকের পক্ষে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পৃথক তিনটি আবেদন করা হয়।
শিবলীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো.মাসুদুর রহমান, আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন দুদকের সহপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু ও তার স্ত্রীর দেশ থেকে নিষেধাজারীর আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন।
শিবলী ও আক্তারুজ্জামানের নিষেধাজ্ঞা আবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা আবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস সচিব হিসেবে কর্মরত থেকে ঘুষ নিয়ে দলের পদ বাণিজ্য, ঋণ ও মুদ্রা চোরাচালান সিন্ডিকেট পরিচালনা, ম্যাক্স গ্রুপ, নগদ ও অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ, অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা উপার্জনপূর্বক নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা যে কোনো সময় বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁরা দেশ ত্যাগ করলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে ও দীর্ঘায়িত হবে। এ কারণে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।
শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন এবং আদেশের অনুলিপি পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।