স্টাফ রিপোর্টার: যেসব পুলিশ সদস্য বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি করছেন তাদের তালিকা করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘বিএনপির রাজশাহী বিভাগের গণসমাবেশের দিন যতই ঘনিয়ে উঠছে, আওয়ামী লীগ সরকার ততই হিংস্র হয়ে উঠছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মানুষকে গণসমাবেশে না আসার জন্য হুমকি দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি ও আটক শুরু হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সকল সদস্য এগুলো করছেন বিএনপি তাদের তালিকা তৈরী করে রাখছে। ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফার মুক্তি দাবি করেন মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাদিম মোস্তফাকে মুক্তি দিতে হবে। নইলে এর পরিণতি ভাল হবে না বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে নগরীর সাগরপাড়া বটতলার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ করেন। রাণীবাজার হয়ে ভুবনমোহর পার্কে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ^নাথ সরকার, মহানগরের সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ প্রমুখ।