স্টাফ রিপোর্টার: গত ২০ নভেম্বর এক মানববন্ধনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা ও কোটায় ভর্তি অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বেধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও পোষ্য কোটা ও ভর্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসন বলছে, বিষয়টি তাদের ফোরামে আসলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পোষ্য কোটা ও ভর্তি বাতিল করা না হলে ফেল করা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক শিক্ষকদের ছবিসহ সকল তথ্যসম্বলিত বিলবোর্ড ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে টানানোর হুশিয়ারি দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধের হুশিয়ারিও দেন তারা। কিন্তু তিন দিন পার হয়ে আরও তিনদিন অতিবাহিত হলেও তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পরেনি। তারা বলছেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি আড়াল করার জন্য কোনো তথ্য তাদেরকে দিচ্ছেন না। ফলে তারাও নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে তারা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয় শাখা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরের মতই এ বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে। তাঁরা আমাদের তথ্য দিচ্ছেন না। এমনকি অনলাইনেও মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে আমরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিব এবং পোষ্য কোটা ও কোটায় ভর্তি অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘ফেলকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার তালিকাটি আমরা পাচ্ছি না। এটির জন্য আমরা বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কেউই সেই তালিকাটি আমাদেরকে দিচ্ছেন না। তারা হয়তো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা সেই তালিকাটি হাতে পেলেই ফেল করা শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবক শিক্ষকের ছবি সম্বলিত সকল তথ্য বিলবোর্ড আকারে টানাবো। এর পাশাপাশি আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
প্রশাসন ভবন অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলব। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তখন যদি কাজ না হয় তাহলে আমরা প্রশাসন ভবন অবরোধ করব। এজন্য আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
পোষ্য কোটা ও ভর্তি বাতিলের বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের বিষয়টি এখন পর্যন্ত ফোরামে আসেনি। তাই এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি ফোরামে আসলেই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’