স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন দোসর মন্ডলের মোড়ে নির্মানাধীন ভবনের সকল কাজ স্থগিতের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করে বিবাদী তানভীর হাবিব বিল্টু। সুপ্রিম কোর্টের বিভাগের হাইকোর্ট ডিভিশন বাদী মজিবর রহমান দিং গণকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভবনের কাজ স্থগিতের আদেশ দেন। কিন্তু বাদী মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী হাই কোর্টের আদেশ অমান্য করে ভবনের কাজ চলমান রাখে। বিবাদী তানভীর হাবিব বিল্টুর ভবনের ছাদের সিসিটিভি ক্যামেরা ও বাদী মজিবর রহমানের রং মিস্ত্রির বক্তব্যে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় বাদী মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভবনটিতে রং মিস্ত্রি ও স্যানেটারি মিস্ত্রি কাজ করছে। রং মিস্ত্রি নওশাদ বলেন তিনি বিগত ২০-২২ দিন ধরে ভবনে কাজ করছে। রং মিস্ত্রি নওশাদের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি কাজ করছে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত কাজ করার নিষেধ ছিলো ভবনটিতে সেই আদেশ অমান্য করে ভবনের মালিক বাদী মজিবর রহমান খোকন ও তার স্ত্রী।
এ বিষয়ে বিবাদীর চাচা সোহাগ জানান মজিবর রহমান কাজ শুরু করলে আমি বেশ কয়েকবার বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে অবগত করি। মোবাইলে জানাই এমনকি তারা কাজ করছে সেই ছবিও প্রিন্ট করে বোয়ালিয়া থানার এসআই মিজানুর রহমানকে দিই কিন্তু থানা থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়নি অথচ এসআই মিজানুর রহমান জানতো ভবনের কাজ স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশ আছে তারপর কোন কিছু করেনি।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয় নিয়ে বিবাদী তানভীর হাবিব বিল্টুর আইনজীবী লিয়াকত আলী বলেন ” বাদী মজিবর রহমান দিং ভবন নির্মানের আবেদন চেয়ে পাননি , মিস আপিল করে এডিশনাল-৩ আদালত অনুমতি দেয় সেই আদেশের প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্টে কাজ বন্ধ করার জন্য আবেদন করি এবং আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে, যার মেয়াদ গত ৩০ অক্টোবর শেষ হয় এবং পুনরায় তিনমাসের জন্য স্থগিতের আবেদন করি সেটাও মঞ্জুর হয় তবে আদেশের কপিটি এখনও পাইনি. কিন্তু বাদী মজিবর রহমান নিষেধাজ্ঞা চলমান সময়েই কাজ করে এমন প্রমাণ আছে, যা আদালত অমান্য করার অপরাধ “।
ভবনে কাজ করার নিষেধ থাকার পরও কাজ করার বিষয় নিয়ে বাদী মজিবর রহমান ও তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে মজিবর রহমান বলেন আমি ৩০ অক্টোবরের পরে কাজ শুরু করেছি রং মিস্ত্রি নওশাদের স্বীকারোক্তির কথা বললে তিনি বলেন আমার ভবনের বাইরের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট তাই আমি ভিতরের অংশে কাজ করিয়েছি ” ভবনটি কয়তলার অনুমোদন আছে এবং কয়তলা করেছেন জানতে চাইলে তিনি এর জবাব দেননি। বরং তিনিই দোষারোপ করে বলেন বিবাদী আমার জমির সীমানায় ভবন নির্মান করেছে এটা নিয়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। ১৫ বছর আগের নির্মান করা ভবন তার সীমানায় কিভাবে ঢুকলো এই বিষয় নিয়ে তিনি বলেন কাগজপত্র আছে।
আদালতের নিষেধ থাকার পরও কাজ চলমান এবং সে বিষয়ে অবগত করলে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ” আমার গতমাসের ২৭ তারিখে ঢাকায় বদলি হয়ে গেছে তবে আমি আদালতের নোটিশ জারী করেছি এরপরও কাজ করলে আদালতে অভিযোগ দিলে আদালত সেটা দেখবে তবে কাজ চলমান অবস্থায় আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি “।