অনলাইন ডেস্ক : র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় বাহিনীটির ১১ জন সদস্যকে জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের রাজশাহীতে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেসমিনকে আটকের অভিযানটি চালিয়েছিল র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল। এই অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১ জনকে জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে র্যাবের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনাটি র্যাব সদর দপ্তর তদন্ত করছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। মূলত তদন্ত কমিটি এই সদস্যদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানবেন। তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই তাদের রাজশাহী আনা হয়েছে।’ তবে এটি ‘প্রত্যাহার’ কিংবা ‘ক্লোজড’ পর্যায়ের বিষয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সরকারের রাজশাহীর পরিচালক মো. এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ সকালে নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী জেসমিনকে আটক করে র্যাবের একটি দল। সেদিনই তাঁকে প্রথমে নওগাঁয় এবং পরে রাজশাহীতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ মার্চ র্যাবের হেফাজতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন মারা যান। নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ। এ কারণে তাঁর মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে র্যাব সদর দপ্তর। তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে।