স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ দলটির ৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকালে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশ বলছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে বিএনপি নেতকাকর্মীদের আটক করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দাবি করেছেন, তারা ২০ নেতাকর্মীর সন্ধান পাচ্ছেন না। ধারণা করছেন, পুলিশ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করছে না। পুলিশের হামলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। মিনু জানিয়েছেন, আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাসহ স্থানীয় চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম ও পরিচয় দিতে পারেননি।
পুলিশ যাদের আটক করেছে তারা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর হোসেন, চারঘাটের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মৃধা, চারঘাট শলুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শিক্ষক এমদাদুল হক, যুবদল সদস্য বাঘা উপজেলার হরিরামপুর এলাকার স্বপন, যুবদল সদস্য উপজেলার রামরামা গ্রামের মনির মণ্ডল, গোদাগাড়ী উপজেলার ছাত্রদল সদস্য আমিনুল ইসলাম। জেলা ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক ও চাঁদের ব্যক্তিগত সহকারী শামীম সরকার এদের নাম-ঠিকানা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীর সাগরপাড়া থেকে বাটার মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি গণকপাড়ায় এসে বাটার মোড়ের দিকে ঘুরছিল। এ সময় পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। মিছিলের সামনে থাকা জেলা বিএনপির আহবায়ক চাঁদসহ মোট ৭ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির জন্য ভুবন মোহন পার্কে অবস্থানের অনুমতি ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকমীরা সেটি না করে বাটার মোড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলেন। এ কারণে জেলা বিএনপির আহবায়ক চাঁদসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলার পর তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে ভুবন মোহন পার্কে মহানগর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। আর জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ।