• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

এক বছর ধরে বাশারের পতনের পরিকল্পনা করেছেন বিদ্রোহীরা

প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ৩:২৭

এক বছর ধরে বাশারের পতনের পরিকল্পনা করেছেন বিদ্রোহীরা

অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অন্তত এক বছর ধরে পরিকল্পনা করেছিলেন বিদ্রোহীরা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ান।

সিরিয়ার সাম্প্রতিক সফল সরকারপতন আন্দোলনের অগ্রবাহিনী ছিল দেশটির সরকারবিরোধী বিভিন্ন গ্রুপ এবং কয়েকটি ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল হায়াত তাহরির আল শামস (এইচটিএস) নামের একটি ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ গোষ্ঠীটি একসময় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।

প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য এইচটিএসের একজন কমান্ডার এবং গোষ্ঠীটির সামরিক শাখার সাবেক প্রধান আবু হাসান আল-হামউই’র সঙ্গে কথা বলেছেন গার্ডিয়ান প্রতিনিধি। হামউই জানান, ২০১৯ সালে সিরীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী সরকার বিরোধীদের লক্ষ্য করে যে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছিল, সে সময় তারা সর্বপ্রথম সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে একটি বড় ত্রুটি শনাক্ত করতে সক্ষম হন। আর সেই ত্রুটি ছিল যথাযথ নেতৃত্বের অভাব।

বাশার আল আসাদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদে আসেন ২০০০ সালে। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয় সিরিয়ায়। এক পর্যায়ে তা সরকার পতন আন্দোলনের দিকে মোড় নিতে থাকে। আল-কায়দা এবং অন্যান্য ইসলামপন্থি কয়েকটি গোষ্ঠীও এই আন্দোলনে তৎপরতা শুরু করে। মূলত সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকেই ২০১২-১৩ সালের দিকে জন্ম নেয় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

আরও পড়ুনঃ  পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা ‘সংকটজনক’: ভ্যাটিকান

২০১১ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সহিংসতার পথ বেছে নেন বাশার আল আসাদ। এর জেরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় সিরিয়ায়।

২০১৬ সাল থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী ও বিদ্রোহী যোদ্ধাদের দমনে জোরেশোরে অভিযান শুরু করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী, রুশ বাহিনী, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সেনবাহিনী। এই যৌথ বাহিনীর ওপর ভর দিয়েই সে বছর বিদ্রোহীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেন বাশার।

আর আলেপ্পো হাতছাড়া হওয়ার পর সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের দিকে সরে যেতে থাকেন বিদ্রোহীরা। ২০১৭ সালে সেখানেই গঠিত হয় এইচটিএস বা হায়াত তাহরির আল শামস।

দ্য গার্ডিয়ানকে আবু হাসান আল-হামউই বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। এটি ছিল আমাদের আন্দোলনের প্রধান দুর্বলতা এবং স্বৈরাচারি সরকারের টিকে থাকার প্রধান ভিত্তি। তাই যখন আমরা বুঝলাম যে আন্দোলনকে সফল করতে হলে যথাযথ নেতৃত্ব লাগবে এবং সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে হবে— তখন থেকেই সেই অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করলাম।”

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

তিনি জানান, আলেপ্পো হারানোর পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী এবং বিভিন্ন ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর প্রধান ঘাঁটি বা ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে ইদলিব এবং দক্ষিণ সিরিয়া। সেখানেই ‘ইউনিফায়েড ওয়ার রুম’ নামের একটি জোট গঠন করে এইচটিএস। হায়াত তাহরির আল শামস ছাড়াও সেই জোটের সদস্য ছিল ২৫টি সমস্ত্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী।

২০১৯ সালে গঠিত হয় এই জোট, কিন্তু সে সময় সরকারপতন অভিযান বা এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা করার মতো বাস্তব পরিস্থিতি ছিল না। যৌথ বাহিনীর বিধ্বংসী অভিযানের মুখে টিকে থাকাটাই তখন ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে পরিস্থিতিতে বদলাতে থাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে। গাজা উপত্যায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ অভিযান শুরু হওয়ায় সিরিয়া থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় বাশারের অন্যতম বিশ্বস্ত মিত্র ইরান। তার আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বস্ত মিত্র রাশিয়া এর অনেক আগে থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী ফ্লাইটে নিরাপত্তা হুমকি, নামানো হলো রোমে

গার্ডিয়ানকে হামউই জানান, নভেম্বরে সিরিয়ার দুই প্রধান মিত্রের মনোযোগ সরে যাওয়ার পর থেকেই তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু করেন।

হামউই বলেন, “আমরা পরিকল্পনার শুরুর দিকে একটি ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছিলাম; সেটি হলো— আমাদের সবার আগে আলেপ্পোর দখল নিতে হবে। কারণ অতীত ইতিহাস এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে যতক্ষণ পর্যন্ত আলেপ্পোর পতন না ঘটবে, ততক্ষণ দামেস্কের পতন সম্ভব নয়।”

“এছাড়া আমাদের সামনে আর একটি চ্যালেঞ্জ ছিল তেহরান এবং মস্কোর সমরাস্ত্র। যে উন্নত প্রযুক্তির সমরাস্ত্র তারা সিরিয়ার সেনা বাহিনীকে দিয়েছিল, সেসব আমাদের ছিল না। এ অবস্থায় অন্যান্য সমরাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন, বিশেষ করে সুইসাইড ড্রোন তৈরির দিকে আমরা বিশেষ মনোযোগী হই এবং শাহীন নামে একটি সুইসাইড ড্রোনও প্রস্তুত করি।”

“শাহীন-এর অর্থ আরবের বাজপাখি। মাত্র ১২ দিনের অভিযানে আমরা দামেস্ক দখল করতে সক্ষম হয়েছি এবং এক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই শিকারী বাজপাখির মতো আমাদের সহায়তা করেছে শাহীন”, গার্ডিয়ানকে বলেন আবু হাসান আল হামউই।

সর্বশেষ সংবাদ

পুঠিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রী নিহত
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:৩৯
ওএসডি হলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৮২ কর্মকর্তা
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:৩৯
ভাঙ্গা ওরিয়েন্ট ক্লাবের কমিটি গঠন
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:৩৯
 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675