• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

‘লাল কেল্লা আমাদের’ হাইকোর্টে দাবি মুঘল বংশধরের পুত্রবধূর

প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ৩:৪৫

‘লাল কেল্লা আমাদের’ হাইকোর্টে দাবি মুঘল বংশধরের পুত্রবধূর

অনলাইন ডেস্ক : সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রাচীর-বেষ্টিত পুরোনো একটি কেল্লা নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। পরবর্তী সময়ে সেই কেল্লার নাম হয় ‘লাল কেল্লা।’

১৮৫৭ সাল পর্যন্ত দুর্গই ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। বংশ পরম্পরায় শাসন করেছেন তারা। এরপর শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসিত করে ভারতের রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরিত করে ব্রিটিশ সরকার। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি সামরিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করতেন। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক। দিল্লি শহর থেকে দুর্গটির দূরত্ব ২ কিলোমিটার।

প্রতি বছর ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাল কেল্লার লাহোরি গেটসংলগ্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বক্তব্য দেন। ২০০৭ সালে লাল কেল্লা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে ২ জনের প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার অনুদান : ডোনাল্ড ট্রাম্প

মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর-১১ এর প্রপৌত্রের পুত্রবধূ সুলতানা বেগম দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে দাবি করেছেন, লাল কেল্লা তাদের। তাই তাকে সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হোক।

যদিও গত শুক্রবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিভু বাখরু এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেআইনিভাবে দখল করা লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুলতানা বেগম। পরে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ।

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আড়াই বছরের বেশি সময় পর এই আবেদন করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। সুলতানা বেগম আবেদনে জানান, তার অসুস্থতার জন্য এবং তার মেয়ের মৃত্যু হওয়ায় আবেদন জানাতে পারেননি। পরে তার আবেদন অপ্রাসঙ্গিক বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

অ্যাডভোকেট বিবেক মোরের মাধ্যমে দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয়, ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা তার পরিবারকে তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং সম্রাটকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া লাল কেল্লার দখল জোর করে মুঘলদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  জেলেনস্কি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নয়, বললেন ট্রাম্প

পিটিশনে আরও দাবি করা হয়, সুলতানা বেগম লাল কেল্লার মালিক। কারণ তিনি তার পূর্বপুরুষ বাহাদুর শাহ জাফরের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। বাহাদুর শাহ জাফর (দ্বিতীয়) ১৮৬২ সালের ১১ নভেম্বর ৮২ বছর বয়সে মারা যান।

পিটিশনে আরও বলা হয়, আবেদনকারীর কাছে লাল কেল্লার অধিকার হস্তান্তর করতে হবে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১৮৫৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকার যে লাল কেল্লা দখল করেছে, তার জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় আবেদনে।

সর্বশেষ সংবাদ

পুঠিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রী নিহত
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:৩৯
ওএসডি হলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৮২ কর্মকর্তা
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:৩৯
ভাঙ্গা ওরিয়েন্ট ক্লাবের কমিটি গঠন
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:৩৯
 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675