সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যদার প্রতীক। এর মর্যদা সমুন্নত রাখতে পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ এর বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে নামাতে হবে।
পতাকা বিধিমালার বিধি ৩ অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০ ঃ ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থেরআয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যরে এক পঞ্চমাংশ বিশিষ্ট। পতাকার দৈর্ঘ্যরে কুড়ি ভাগের নয় ভাগ অংশ হতে অঙ্কিত লম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দু হবে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু।
বিজয় দিবস উদযাপনে ভবনের আয়তন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত বিশিষ্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। এক্ষেত্রে বড় ভবনের জন্য পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট প্রস্থ ৬ ফুট, মাঝারি ভবনের জন্য দৈর্ঘ্য ৫ ফুট প্রস্থ ৩ ফুট এবং ছোট ভবনের জন্য দৈর্ঘ্য ২.৫ ফুট প্রস্থ ১.৫ ফুট হতে পারে।
পতাকার আকারের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে পতাকা উত্তোলনের জন্য সোজা দণ্ড ব্যবহার করতে হবে। কাঠি, কঞ্চি বা বেমানান দণ্ড ব্যবহার করা যাবে না। বিবর্ণ, ছেড়া, নোংরা, বিকৃত আকারের (প্রকৃত মাপ ছাড়া) এবং বিকৃত রঙের কোনো পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
জাতীয় পতাকার প্রতি কোনোরূপ অসম্মান আইনত দণ্ডণীয় অপরাধ।