অনলাইন ডেস্ক : সাড়ে তিন বছর ধরে দেশের অন্যতম প্রধান ক্রীড়া ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে সংস্কার কাজ। গ্যালারি, মাঠ, অন্যান্য সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু অপেক্ষা ফ্লাডলাইটের। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জন্য আধুনিক ফ্লাডলাইট আসছে স্পেনের মাদ্রিদ থেকে।
ফ্লাডলাইটের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে কয়েক মাস আগেই। বিসিবির পরিচালক মাহাবুব আনামের প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ পেয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শর্ত ছিল ফ্লাডলাইট শিপমেন্টের আগে পরিদর্শনের। সেই শর্ত অনুযায়ী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ) মাহবুব মোরশেদ সোহেল, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একজন প্রকৌশলী, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব স্পেনের মাদ্রিদে গিয়েছিলেন। এদের সকল খরচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানই বহন করেছে। মন্ত্রণালয়-ক্রীড়া পরিষদের কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিলিপস কোম্পানির লাইট স্থাপিত হবে। ফিলিপসের সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডস হলেও ফ্লাডলাইট কারখানা মাদ্রিদ। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা মাদ্রিদেই যান। ফিলিপসের ফ্লাডলাইট দেখার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল স্টেডিয়াম রিয়াল মাদ্রিদের সান্টিয়াগো বানার্ব্যু স্টেডিয়ামেও গেছেন তারা। সেই স্টেডিয়ামে লাইটিংয়ের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কেও অবগত হয়েছেন।
সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতিবাচক সম্মতি দেয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দ্রুততার সঙ্গে স্পেন থেকে ফ্লাডলাইট বিমানযোগে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফ্লাডলাইট স্পেন থেকে ঢাকায় এসে পৌছাবে। ঢাকায় আসলেও ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বুয়েটের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। ফ্লাডলাইটে এবং গ্যালারি শেডে কত শতাংশ লাইট কিভাবে স্থাপন হবে। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর লাইট স্থাপনের কাজ শুরু হবে।