• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

রাজশাহীতে বিএমডিএর সদর দপ্তরে দুদকের অভিযান: অপারেটর নিয়োগ স্থগিত

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ৫:৫৭

রাজশাহীতে বিএমডিএর সদর দপ্তরে দুদকের অভিযান: অপারেটর নিয়োগ স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয়ের দুইটি দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে বিএমডিএর সেচ শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান ও ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শহীদুর রহমানের দপ্তরে এই অভিযান চালায় দুদক কর্মকর্তারা।

দুদকের দলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। অভিযানে ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন এবং উপ-সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমানও। তারা জাহাঙ্গীর আলম খানের দপ্তরে বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র দেখেন।

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় বিএমডিএর ১৬ হাজারের বেশি গভীর নলকূপ রয়েছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর সব অপারেটরের নিয়োগ বাতিল করা হয়। এরপর নতুন অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসব নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পেতে ২৩ হাজার ৭৫২ জন আবেদন করেন। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর প্রায় ৮ হাজার জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোরে বিএমডিএর জোন কার্যালয় ঘেরাও, এমনকি কার্যালয়ে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

আরও পড়ুনঃ  নগরীতে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫ জন

এর ফলে মনোনীত হওয়া প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অপারেটরের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এখন আবার পুরনো আবেদন থেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দুদক এই অভিযান পরিচালনা করে।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামীপন্থি ৮৪ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ, ৯ জনের জামিন

বিএমডিএর সেচ শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকার সংখ্যাটি সাড়ে ৪ হাজার হবে না। বড়জোর ৫ থেকে ৬ শতাংশ হতে পারে। যাদের ব্যাপারে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো আটকে আছে। দুদক এসে নথিপত্র দেখেছে। কিছু নথিপত্র চেয়েছেও। নথিপত্র সরবরাহের জন্য আমি একটু সময় নিয়েছি।’

এদিকে সেচ শাখার অভিযানের পর দুদক দল বিএমডিএর ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শহীদুর রহমানের দপ্তরে যান। এই কর্মকর্তা ১৯ কোটি টাকার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ ঠিকাদারদের কাছে ‘বিক্রি’ করেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর ভিত্তিতেই দুদক দল সেখানেও অভিযান পরিচালনা করে।

আরও পড়ুনঃ  নগরীতে ছাদ থেকে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারীর মৃত্যু

শহীদুর রহমান বলেন, যে ১৯ কোটি টাকার কাজ অর্থের বিনিময়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ, ওই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শেষই হয়নি। কোনো ঠিকাদারকে কার্যাদেশও দেওয়া হয়নি। দুদক দলকে এ সংক্রান্ত নথিপত্র দেখিয়েছেন।

সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, কর্মকর্তারা তাদের স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখিয়েছেন। অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। এগুলো হাতে পাওয়ার পর বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675