স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীর শহীদ সাকিব আনজুমের বাবা সাইদুল হক।
মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইদুল হক। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বিদায় করতে গিয়ে আমার কলিজার টুকরা সাকিব শহীদ হয়েছে। আমি একজন গর্বিত পিতা। আমার সাকিবের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না।’
সাকিব আনজুম রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। গত ৫ আগস্ট রাজশাহী নগরের শাহমখদুম কলেজের কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে ওই এলাকার একটি বাসায় তিনি মারা যান। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পরই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে।
শনিবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর জামায়াতের এই কর্মী সম্মেলনে সাকিব আনজুমের বাবাকে উদ্বোধক করা হয়। তিনি রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীতে বড় পরিসরে জামায়াতের এমন কর্মী সম্মেলন হচ্ছে। তাতে উচ্ছ্বসিত দলটির নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. মো. কেরামত আলী।
কর্মী সম্মেলন ছাড়াও শনিবার দুপুরে চিকিৎসক সমাবেশ এবং বেলা ৩টায় মহিলা সদস্য সমাবেশ হবে। বাদ মাগরিব ব্যবসায়ীদের নিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে একটি সমাবেশ হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।