অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ২৩ মিনিটে মাঝারি মানের এই ভূমিকম্প হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ভারতের মনিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং অঞ্চল থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের সাগাইং এলাকায়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১২৬ কিলোমিটারের বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র বলছে, তারা এই বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ভারতে ভূমিকম্পের কথা বলেছে।
রাজধানীর অনেক এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বনশ্রী, আফতাবনগর মহানগর প্রকল্প ও রামপুর এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই ফেসবুকে ভূমিকম্পের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ভূমিকম্পের মূল যে জায়গা ধরা হয় সেটি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল যা সিলেটের অন্তর্গত। এই অঞ্চল টেকটোনিক প্লেটের কাছাকাছি। এছাড়া আসাম, শিলংয়ে প্লেট আছে। এসব জায়গায় ভূমিকম্প হলে সেটির প্রভাব পড়ে দেশের মধ্যে। তবে এমন ছোট ছোট ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতায় হঠাৎ বড় ভূমিকম্প হবে কি না সেটি নিয়ে আগে থেকেই কিছু বলা যাবে না।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিলেটের ফল্ট লাইনে দিনের বেলা ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫ ভবন ধসে পড়তে পারে। ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার সমমূল্যের।