মোহা: আসলাম আলী, বাঘা: জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাঘার জনজীবন। বেশী বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে মানুষ। অতি কষ্টে দিন পার করছে তারা। তীব্র শীত ও ঘনো কুয়াশায় আমের মুকুলের ক্ষতির আশংক্ষা করছেন বাগান মালিক ও আম ব্যবসায়ীরা। হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
গত কয়েক দিন যাবত রাতে শীতের তীব্রতা যেনো বেড়েই চলেছে। কোন-কোন দিন সকালে সূর্যের দেখা মিলছে না। কষ্টে জীবন যাপন করছেন উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন চর এলাকার অসহায় গরিব খেটে খাওয়া মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, দেশের উত্তর অঞ্চলের জেলা গুলির মধ্যে নদী তীরবর্তী রাজ শাহীর বাঘা উপজেলা। একারণে এই উপজেলায় ঠান্ডার প্রকোপ বেশী। ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছেন এলাকার খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত ও কুয়াশা এভাবে চলতে থাকলে বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচন্ড শীতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আম চাষী ও বাগান মালিকরা। এছাড়া শীতজনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
রহমতুল্লাহ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম বলেন,গত কয়েকদিন শীতের প্রকোপের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। তীব্র শীতের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিত হ্রাস পেয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও সেগুলো অপ্রতুল।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান আসাদ জানান, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে অর্ধশতাধিক ডায়রিয়া ও শীতজনীত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তীব্র শীতের কারণে ডায়রিয়া,নিউমোনিয়ায়,সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগীদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার বলেন, আমরা জেলা পরিষদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে ৩ হাজার ৩ শত পিচ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে ২ হাজার পিচ কম্বল পেয়েছি। উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌর সভা ছাড়াও মাদ্রাসা, এতিম খানা, গুচ্ছ গ্রাম,প্রতিবন্ধী স্কুল, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ,আশ্রায়ন প্রকল্প ও চরাঞ্চলে শীতার্ত দুস্থ মানুষের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে।