স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: রাজশাহীর দুর্গাপুর ও পবা উপজেলার পৃথক এলাকায় শিয়ালের কামড়ে নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের উত্তর তেকাটাপাড়া এবং দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সুখানদিঘী, ব্রহ্মপুর ও দাওকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওইসব এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহতরা হলো, পবা উপজেলার তেকাটাপাড়া গ্রামের মোজ্জাফর আলী (৬০), আব্দুল মান্নান (৪৫), মাছিফা বিবি (৫০)। অপরদিকে দুর্গাপুর উপজেলার সুখানদিঘী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৩৫), ব্রহ্মপুর গ্রামের জনাব আলী (৬৫), দাওকান্দি গ্রামের মোবারক আলী (৫২), মোজ্জাফর হোসেন (৭০) ও মাজেদা বেগম (৫০)।
তেকাটাপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বিকেলে আলুর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে বাসায় ফেরার সময় আমাকে শিয়ালে আক্রমন করে। পরে আমার কাছে বাল্টি থাকায় কামড় থেকে কোনোভাবে আমি রক্ষা পেয়েছি। তবে আমার গ্রামের অপর ৩ জন ভেড়াপোড়া বিলে ছাগল চরানোর সময় হটাৎ তাদের শিয়ালে আক্রমণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান কামড় দিয়ে যখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, শিয়ালের কামড়ে আহত ব্রহ্মপুর গ্রামের জনাব আলী বলেন, আমি ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বাজারে চা খাওয়ার জন্য বাগানের মধ্যে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি শিয়াল দৌড়ে এসে আমার পায়ে পায়ে কামড় দেয়।
দাওকান্দি গ্রামের আহত মোজ্জাফর হোসেনের ছেলে রুস্তম আলী জানান, আমার বাবা সন্ধ্যার সময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করে শিয়ালের কামড় দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক যখম হয়েছে
এ ঘটনায় সন্ধ্যা থেকে ওইসব এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে শিয়াল আতংক বিরাজ করছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, ক্ষতস্থান প্রাথমিকভাবে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া ক্ষতস্থানের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক চিকিৎসা দিবেন।
এছাড়াও শিয়ালের কামড় থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার রাখার পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ওইসব এলাকা এড়িয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেন ডাঃ রুহুল আমিন।