এম এ রশীদ, সিলেট : বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্কুল প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ও বাঙালি সংস্কৃতির পিঠা উৎসবের এক অপূর্ব মিলনমেলায়।বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তারুণ্য উৎসবের উদ্বোধন করে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জহুরুল ইসলাম, সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মোঃ বাহার উদ্দিন মোঃ রুহুল আমীন ভূঁইয়া,সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিনুল হক, সহকারী শিক্ষক আইয়ুব আলী,মস্তাক আহমদ,শফিকুল ইসলাম,মোঃ মকুল হোসেন,মোঃ নাজমুল হক,মইনুদ্দিন সুয়াই আনোয়ারা বেগম,দিলারা বেগম,তারুণ্যের পিঠা প্রেমিক মোঃরাহাত চৌধুরী রাজু,বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য মোঃ ফখরুল ইসলাম ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি ও বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য এম এ রশীদসহ অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ আরো অনেকে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের তারুণ্য ধরে রাখার উৎসাহ দিয়ে অতিথিরা বলেন, সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ থাকে ।
এবারের পিঠা মেলা ছিল বিশেষভাবে উৎসর্গ করা তারুণ্যের উদ্দীপনা এবং বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসাকে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শনী ছিল,যার মধ্যে পাটিসাপটা,দুধপুলি, সেমাই পিঠা,পাকন পিঠা, নারকেলের পিঠা এবং শিক্ষার্থীদের দেওয়া সুন্দর সুন্দর নামের বিভিন্ন ধরনের পিঠা।
আয়োজিত পিঠা মেলায় শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা একত্রিত হয়ে উদযাপন করেন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারের এই উৎসব। প্রতিটি স্টলই ভিন্ন স্বাদের পিঠা এবং সুন্দর সাজসজ্জার মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। তাই আগামী এ রকম মেলার আয়োজন করার অনুর্ভূতি ব্যক্ত করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা মেলাটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
আয়োজিত তারুণ্য মেলা ও পিঠা উৎসবের এমন আয়োজন অব্যহাত আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।