অনলাইন ডেস্ক : নারী ফুটবলে উদ্ভুত সংকট নিয়ে গতকাল বাফুফের জরুরি সভায় একটি বিশেষ কমিটি গঠন হয়েছে। সেই কমিটির প্রধান বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। আগামীকাল বিকেলে বাফুফে ভবনে বিশেষ কমিটির প্রথম সভা হওয়ার কথা রয়েছে।
নারী ফুটবলের সংকট নিরসনে আশাবাদ পোষণ করে বিশেষ কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান বলেন, ‘মেয়েদের অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলে একটা ভালো অবদান রয়েছে। কিন্তু ভালো অবদান থাকা সত্ত্বেও এটা কারো কাছে বাংলাদেশের ফুটবল জিম্মি হয়ে থাকবে সেটাও কিন্তু এক রকম ঠিক না। আমরা আশা করছি একটা সুন্দর সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’
ফুটবলের মূল স্টেকহোল্ডার ফুটবলার হলেও এর সঙ্গে কোচ, কর্মকর্তাও জড়িত। অনেক ঘটনায় কোচ-কর্মকর্তাদের দায় থাকে। ইমরুল সেই বিষয়টিও পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘ফুটবল কারো কাছেই জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না। সেটা খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা যেই হোক।’
বাফুফে সভাপতির কাছে নারী ফুটবলারদের কোচ নিয়ে চিঠির প্রেক্ষিতে মূলত এই কমিটি গঠন হয়েছে। ফুটবলার-কোচ প্রধান চরিত্র হলেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিঞাসাবাদের আওতায় আনতে চায় কমিটি, ‘কোচ ও ফুটবলারদের থেকে তো শুনবেই। নারী উইংয়ের কর্মকর্তা, অন্য কোচিং স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকেই আমরা প্রকৃত তথ্য জেনে সংকট সমাধানের চেষ্টা করব।’
তদন্ত কমিটির মেয়াদ মাত্র এক সপ্তাহ। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ এক সপ্তাহের জন্য যথেষ্ট কি না এই প্রসঙ্গে তার উত্তর, ‘আমরা আগামীকাল প্রথম সভার মাধ্যমে কাজ শুরু করব। দেখা যাক কত দিন সময় লাগে।’
২০২৩ সালে ফিফা আবু নাইম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর বাফুফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই সময় বাফুফের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন ইমরুল হাসান। ঐ কমিটির কোনো সভাতেই উপস্থিত থাকেননি এবং প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও ছিল না। এবার গুরুত্বপূর্ণ কমিটির দায়িত্বে কতটুকু সময় দিতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।
গতকাল নারী ফুটবলাররা কোচের ওপর বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোচ পিটার বাটলারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি এখন গণমাধ্যমে কথা বলতে ইচ্ছুক নন। নারী ফুটবলারদের সমস্যায় নারী উইং আগে থেকেই জ্ঞাত। এরপরও সমস্যা সমাধান না করে কেন কোচ নিয়োগ ও সমস্যা চলমান। বিশেষ কমিটি হওয়ায় নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণও এ নিয়ে মন্তব্য করতে চান না।