• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলা: মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু

প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৬:৪৪

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলা: মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার পাবনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা।

মুক্তি পাওয়া অন্য দুজন হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল ও যুবদল নেতা মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেখান থেকে তাঁরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৌঁছালে তিনজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কারামুক্ত নেতাদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেন।

শোভাযাত্রাটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাছপাড়া, টেবুনিয়া, দাশুরিয়া হয়ে তাঁদের নিজ এলাকা ঈশ্বরদী গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কারামুক্ত নেতাদের গণসংবর্ধনার আয়োজন করে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

আরও পড়ুনঃ  নিয়ামতপুরে ব্যাডেন পাওয়েলের জন্মবার্ষিকী পালন

এ সময় জাকারিয়া পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ভুয়া মামলা। তৎকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণেই গন্ডগোল হয়েছিল। সেখানে আমরা স্যাবোটাজ হয়ে গেছি যেভাবেই হোক। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির ৫২ জন নেতা-কর্মীকে জড়িয়ে মামলাটি করেছিল। পরে মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়েছিল। যাতে ঈশ্বরদীতে বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় ওই সময় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

আরও পড়ুনঃ  বিয়ানীবাজারে অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করলো পুলিশ

মামলায় তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়।

২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবিতে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ ৪৭ জনের সবাইকে খালাসের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘খালাসপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ৩০ জন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার আগে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাবনা কারাগারে ছিলেন জাকারিয়া পিন্টুসহ তিনজন। তাঁরা আজ মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে থাকা বাকি নেতারা মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাবেন।’

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675