• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

রুনা খানের পর এবার সম্পত্তি ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন দিতিকন্যা

প্রকাশ: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৭:৪৫

রুনা খানের পর এবার সম্পত্তি ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন দিতিকন্যা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ে সমান ভাগ পান না। এক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের ভাগ পুত্র সন্তানের অর্ধেক। তবে সেই নিয়মের পথে না হেঁটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অভিনেত্রী রুনা খানের ভাই তুহিন।

বাবার ২৫ কাঠার একটি জমি ভাই-বোন সমানভাগে বণ্টন করে নিয়েছেন। বিষয়টি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন রুনা খান নিজেই।

অভিনেত্রী জানান, তার বাবার ২৫ কাঠার একটি জমি ছিল। সে জমি বিক্রির টাকা তার ভাই তাকে অর্ধেক বুঝিয়ে দিয়েছে। তার ভাইকে সবাই এটি করতে মানা করলেও তিনি তা শুনেননি। দেশের আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেছেন, ‘আমি দেশের নিয়ম মানি না।’

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, তিনি যখন ইডেনে অনার্সে ভর্তি হন তখন তার ভাই ৯ম শ্রেণিতে পড়েন। পারিবারিক বাস্তবতায় রুনাকে টিউশনি করে পড়াশোনা করতে হয়েছে, সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সংসারের পিছনে রুনার অবদান ভুলেননি তার ভাই।

আরও পড়ুনঃ  খোলামেলা ছবিতে উত্তাপ ছড়ালেন নুসরাত ফারিয়া

জমি বিক্রির টাকা ভাগ করার সময় সবাই তুহিনকে বলেছে, তোমার সম্পত্তি এক টাকা হলে রুনার দশ টাকা। ও তোমার চেয়ে দশগুণ আয়ও করে। জবাবে তুহিন বলেছেন, রুনার আমার থেকে ১০ গুন বেশী আছে তাই অর্ধেক দিলাম, নইলে ওকে পুরাটা দিতাম। বাপের ২৫ কাঠা জমি যে ২৫ বছর আগেই বেঁচে খেতে হয়নি, তার কারণ রুনা। আব্বুর রিটায়ার করার পর কোন একটা আত্মীয়-স্বজন ১ টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি, রুনা জীবনে ১ টা টাকা কারোর কাছে সাহায্য চায়নি, ধার করেনি। ১৮ বছর বয়স থেকে টিউশনি করে নিজে চলেছে-সংসার চালিয়েছে-আমাকে মানুষ করে! এইজন্যই তো এই জমি আছে, নইলে তো জমি কবেই বেঁচে খেতে হতো! আব্বুর জমির পুরাটা ওর ভাগ। ওর অনেক আছে তাই ওর ভাগ থেকে অর্ধেক আমি নিলাম।

আরও পড়ুনঃ  শিল্পীদের বেঁচে থাকাটা কষ্ট হয়ে যাবে : নুসরাত ফারিয়া

রুনা খানের ভাইয়ের এমন পদক্ষেপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। বিষয়টি চোখে পড়েছে প্রয়াত চিত্রনায়িকা দিতি ও চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরীর।

তিনি জানালেন, তার ক্ষেত্রেও বাবা-মা একই কাজ করেছেন। নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে দিতিকন্যা লিখেছেন, এটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আমার আর আমার ভাইয়ের মধ্যেও সব সমান সমান। আমাদের বাবা-মা এটাই চেয়েছেন। আর আমাদের এভাবেই বড় করা হয়েছে।

লামিয়া লেখেন, দুর্ভাগ্যবশত আইন আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা সমান না। আর শুধু শুধু সবকিছু জটিল করে আমাদের সময় নষ্ট করে। বাড়তি সময় ও কাগজপত্র নষ্ট। যেখানে মা স্পষ্ট বলে গেছেন যে আমরা সমান। আর এগুলো আমিই দেশে থেকে দেখভাল করি। অথচ আমারই এরকম শুনতে হয় যে আমার মূল্যায়ন অর্ধেক। এসব ঠিক না।

আরও পড়ুনঃ  ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা সম্ভব : কারিনা

দিতিকন্যা আরও লিখেছেন, ইসলাম ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত। এই আইনের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। কিন্তু আগের সমাজ ও এখনকার সমাজ এক না। আগেকার দিনে নারীদের কম দেওয়া হতো কারণ বিবাহিতার ব্যয় স্বামী বহন করত। আর অবিবাহিতাদের খরচ ভাই বহন করত। এখন এরকম হয় না। মেয়েরা এখন ভাইদের ওপর নির্ভরশীল না। আমি অবিবাহিত বলে আমার অর্থনৈতিক দায়িত্ব আমার ভাইয়ের না। বরং এখন স্ত্রী/বোনেরা সংসারের খরচভ ভাগ করে নেয়। তাহলে কেন এখনও এই বৈষম্য অব্যাহত? এ ধরনের আইনগুলো সংস্কার করা উচিত এবং অন্ততপক্ষে এমন পরিবারগুলোতে বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় যারা এই বৈষম্যের একমত না।

সবশেষে লামিয়া লেখেন, বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের সমান করে বড় করেছেন। ভাইও আমাকে সমানই ভাবে। শুধু আপনারা আমাকে ছোট করছেন। এসব বন্ধ করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়িতে তুলসী গাছ থাকতে ওজন ঝরানো নিয়ে চিন্তা?
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১০:৩১
রোজের ব্যবহারের একটি জিনিস থেকেই ঘরের দূষণ বাড়ছে!
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১০:৩১
গৃহবধূদের সঙ্গে শ্রমিকের তুলনা কেন!
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১০:৩১
পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন নাহিদ ইসলাম
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১০:৩১
 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675