স্টাফ রিপোর্টার: খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন শিরিন শারমিন। আগামী ৫ মার্চ তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে। নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিনিয়র শিক্ষককে অধ্যক্ষ পদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। সিনিয়র শিক্ষক অপারগতা স্বীকার করলে তারপরের জনকে দায়িত্ব দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, তালিকা অনুযায়ী যিনি রয়েছেন, তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের। কখনোই আওয়ামী লীগ পরিবারের কাউকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে দেওয়া হবে না। আমরা কখনোই তা মেনে নিব না, প্রয়োজনে বিদ্যালয়ে তালা মেরে দিব। স্থানীয়রা আরো বলছেন, কোন শিক্ষক যদি নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকে তার কোন সুযোগই নাই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার। একটি বালিকা বিদ্যালয়ে এ ধরনের শিক্ষক কখনোই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার অধিকার রাখে না। এ বিষয়ে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয়রা বলছেন, নিরপেক্ষ শিক্ষককে যেন অধ্যক্ষের চেয়ারে বসানো হয়। স্থানীয়রা আরো বলেন, মোঃ জুয়েল রানা উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয় দীর্ঘদিন থেকে। অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ পাওয়ার ফলে এলাকাবাসী আন্দোলন করে। এর ফলে ২০১৫ সালে ওই ছাত্রীর সাথে শিক্ষক জুয়েল রানার বিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, জুয়েল রানা অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন। জুয়েল রানা অধ্যক্ষ হলে খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অনেক বড় ক্ষতি হবে। নতুন করে কলেজে ছাত্রীরা ভর্তি হবে না। অনেক ছাত্রী কলেজ থেকে চলে যেতে পারে, এর ফলে প্রতিষ্ঠান পড়বে হুমকির মুখে।আমরা একজন ব্যক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাক এমনটা চায় না।এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিরিনা শারমিন সাক্ষাৎকারে বলেন, বিধি অনুযায়ী এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব নিয়ে যিনি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, তাকেই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসানো উচিত। তবে আমার মতামতে কিছুই আসে- যাই না সভাপতি আছেন উনি বিষয়টা দেখবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, বিধিমালা ভঙ্গ করে যদি কোন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়,তাহলে নিরপেক্ষ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। যদি কোন শিক্ষক নারি কেলেঙ্কারি নিয়ে উক্ত বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাই সেটা আমরা মেনে নিব না। প্রয়োজনে আমরা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করব।
এ বিষয়ে খাদেমুল ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) বলেন,আগামী ২৫-২৬ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং-এ নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় এমন কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হবে না।