স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্টের ৮ জনসহ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের থানা ও ডিবি পুলিশের অভিযানে মোট ২৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী মহানগরীতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিস্ফোরণ ঘটানো, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও আরএমপির অভিযানে ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে যার মধ্যে মাদক মামলায় ৩ জন, ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ জন এবং অন্যান্য অপরাধে ৯ জন।
অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: মো: আনোয়ার খান, মো: আলমগীর হোসেন (৪০), মো: নিজাম আলী রুপম (২৮), মো: জাকারিয়া রিয়াল (২৬), মো: শওকত হোসেন রবু (৫০), মো: হালিম শেখ (৫২), মো: রাজু শেখ (২৫) ও মো: শরিফুর ইসলাম (৪৫)।
আনোয়ার খান শাহমখদুম থানার ভূগরুইল এলাকার মৃত আমজাদ খানের ছেলে। সে নওহাটা পৌর তাঁতিলীগের সাবেক সভাপতি। আলমগীর হোসেন পবা থানার পশ্চিম পুঠিয়া এলাকার মৃত জনাব আলীর ছেলে। সে নওহাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। নিজাম আলী চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী স্কুল রোড এলাকার মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জাকারিয়া রিয়াল রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার মোনুরনবীর ছেলে। সে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামীলীগ কর্মী শওকত হোসেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চব্বিশ নগর দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত বজলার রহমান সরকারের ছেলে। হালিম শেখ রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার পঞ্চবটি শ্বশানঘাট এলাকার মৃত জসিম শেখের ছেলে। ছাত্রলীগ কর্মী রাজু শেখ শাহমখদুম থানার দুরুলের মোড় এলাকার মো: জামাল উদ্দীন শেখের ছেলে। শরিফুর ইসলাম রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার ক্ষদির বটতলা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।-খবর বিজ্ঞপ্তি