অনলাইন ডেস্ক : চলতি ২০২৫ সালে ইরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েল। মূলত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে এই হামলার পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থায়ী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলের শেষ সময়ে এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের শুরুর সময়ে লেখা হয়েছে এসব প্রতিবেদন। যদি ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা সফল হয়, সেক্ষেত্রে ইরানের পরমাণু প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু হাউসের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এছাড়া ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে এ ইস্যুতে ইসরায়েলের সরকার, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরেও যোগাযোগ করা হয়েছিল; কিন্তু এসব জায়গা থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ অবশ্য সম্ভাব্য হামলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু অস্ত্রধারী শক্তি হিসেবে দেখতে চান না। তিনি এটা কখনও অনুমোদন করবেন না।”
হিউজ বলেন, “ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু ইস্যু রয়েছে এবং সেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট সেসব ইস্যু শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চান। কিন্তু ইরানের যদি আগ্রহ না থাকে, সেক্ষেত্রে তো তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন না।”
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে তাদের কাছে যেসব গোয়েন্দা প্রতিবেদন রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃতটি এসেছে এসেছে গত জানুয়ারির শুরুর দিকে। প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে দুই দেশের সামরিক বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থা।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প বিষয়ক স্থাপনাগুলো দেশটির দু’টি শহরে অবস্থিত—ফরদো এবং নাতাঞ্জ। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি দুই’টি শহরেই সম্ভাব্য হামলা ঘটবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে পরিচিত একাধিক মার্কিন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তারা বলেছেন, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইরানে যে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, তাতে ইরানের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশটি। মার্কিন কর্মকর্তারা মতে, দেশটির বর্তমান ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থাই হামলার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।