অনলাইন ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নারীর শিক্ষা ও কাজের পরিধি। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পেশা, ব্যবসা ও আয়ের নতুন ক্ষেত্র, যা নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এর একটি নেতিবাচক দিক হলো ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা। ভুক্তভোগী হচ্ছেন নারী রাজনৈতিক অধিকারকর্মী, অভিনেত্রী, নারী কবি ও লেখক, নারী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ ও প্রান্তিক নারীরা।
শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতার সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ প্রকাশ’ শীর্ষক তথ্যবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। গবেষণাভিত্তিক এডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ভয়েস এর আয়োজন করে।
সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভয়েসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী। গত বছর অক্টোবর থেকে ঘটে যাওয়া নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতার ১৩টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, নারীরা অনলাইনে বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হন, যার মধ্যে তাদের আদর্শ, জীবনযাত্রা বা পেশাগত কারণে লজ্জিত ও দোষীসাব্যস্ত করা এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপতথ্য প্রচার উল্লেখযোগ্য।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর জোর দেন তারা। এ ছাড়া পুলিশের সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত ব্যক্তিদের জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে যৌন হয়রানি মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হলো জনসচেতনতা। অনলাইন সহিংসতার বিভিন্ন ধরন, এর প্রভাব এবং সম্পৃক্ত আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারাভিযান, কর্মশালা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালানো জরুরি। ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিয়ে অনলাইনে যৌন সহিংসতার ক্ষতিকর প্রভাব সর্ম্পকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ভুক্তভোগীদের সমর্থন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যকে সহজলভ্য করতে হবে।