রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিক্ষকসহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন গণিত বিভাগের শিক্ষক ড. মো. জাকির হোসেন, একই বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মানিক বাবু, সাইদ সিয়াম ও মনির আহমেদ; ১৯-২০ সেশনের শহিদ আক্তার এবং ২০২০-২১ সেশনের আলি আহসানসহ অন্তত ২০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়ামের গ্যালারির দুই পাশে বসে খেলা দেখছিল। খেলা শেষে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ পরাজিত হলে তারা গণিত বিভাগের ওপর চরাও হয়। এক পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এ সময় সেখানে পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হন।
পরবর্তীতে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়ামের মাঠের মধ্যে অবস্থান নিলে ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের গেট ভেঙে মাঠের ভিতরে প্রবেশ করে। তখন আরেক দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় শিক্ষকসহ প্রায় পনেরজন আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে পেরেছি, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের গালাগালি করছিল। পরবর্তীতে ওই বিভাগের শিক্ষকরা গালাগালি করে। যার ফলে আমার বিভাগের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায়।
গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, শুরু থেকেই আমি খেলার মাঠে ছিলাম। আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব শান্তভাবেই খেলা উপভোগ করছিল। একপর্যায়ে খেলা শেষ হলে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের ডেকে এনে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুই পাশের গেট দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-ইত্তেফাক