অনলাইন ডেস্ক : ৪৮ তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণার পর ১০০ মিটার পুরুষ স্প্রিন্ট ইভেন্টের পুরস্কারও দিয়েছেন। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন।
অ্যাথলেটিক্স মাদার অফ অল ডিসিপ্লিন হিসেবে খ্যাত। অথচ সেই অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন সাফল্য নেই আবার নতুন মুখও আসছে না। এ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অলিম্পিকে অধিক জনবহুল দেশের মধ্যে আমাদেরই কোনো পদক নেই। আমাদের প্রান্তিক পর্যায় থেকে অ্যাথলেট উঠে আসছে না। আবার যারা আসছে তারা উন্নত প্রশিক্ষণ পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করার জন্য। আমরা খেলাধূলা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে মেধাবী খেলোয়াড় তুলে আনার পরিকল্পনা করছি পাশাপাশি স্পোর্টস ইন্সটিটিউট নির্মাণের চেষ্টা করছি। যেখানে আধুনিক ও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে।’
জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে প্রায় চার বছর। দীর্ঘ সময় ধরে যেমন চলছে পাশাপাশি এর ব্যয় নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ নিয়ে উপদেষ্টা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সময়ে আরও দু’টি স্টেডিয়াম তৈরী করে ফেলা যায়। এর মধ্যে প্রকল্পের সময় আরও একবার বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল। আমরা তা নাকোচ করে দিয়েছি। আমরা চেয়েছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে খেলা ফেরাতে। মাঠ বাফুফেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। ফ্লাইডলাইটসহ বাকি কাজও মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’ এই কাজ শেষ হলে এত বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখবেন উপদেষ্টা, ‘কাজ শেষের পর আমরা অবশ্যই তদন্ত করে দেখব এত সময় কেন লাগল এবং কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু সজীব ভূইয়া দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পর আকস্মিক জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় দোকান পরিদর্শন করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রাপ্ত ভাড়ার চেয়ে দোকান মালিকরা কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করছে। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে, কেউ যেন আমাকে নিয়ে দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে।’
ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীত নিয়ে জিরো টলারেন্স অবস্থান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ফেডারেশনগুলোকে গত দুই বছরের অডিট রিপোর্ট দিতে বলেছি। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করব। যারা অডিট রিপোর্ট দেয়নি তাদের ফান্ড স্থগিত রয়েছে। আমরা ফেডারশেনগুলোকে নিদের্শনা দিয়েছি ক্রীড়া দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রয়োজনে তারা দুদকে যেতে পারেন।’
বাংলাদেশের হকির অন্যতম কিংবদন্তী রাসেল মাহমুদ জিমি আসন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য ৫৮ জনের ফিটনেস টেস্টের দলেও নেই। যা অত্যন্ত বিস্ময়কর। হকি অঙ্গনের আলোচনা ৩২ বছরের বেশি বয়সের খেলোয়াড়দের না ডাকার পরিকল্পনা ফেডারেশনের। অথচ ক্রিকেট, ফুটবলে ৩৭-৩৮ বছরেও জাতীয় দলে খেলছেন অনেকে। এ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। হকি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করব।’