স্টাফ রিপোর্টার : একসঙ্গে দুটি কলেজে চাকরি করায় রাজশাহীর একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থটির উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সরকারের তহবিল থেকে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭১ টাকা অতিরিক্ত বেতন তুলে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণী থেকে জানা যায় আসামি মেহেদী হাসান রাজশাহী মহানগরীর মতিহার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি এ পদে যোগ দেন। এর আগে ২০০৪ সালের ১২ জুন তিনি বাগমারা উপজেলার আদর্শ মহিলা টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক (বিএসসি গণিত) হিসাবে যোগ দেন। ওই পদ থেকে পদত্যাগ না করেই তিনি মতিহার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেন। একইসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নেন তিনি।
মেহেদী হাসানের বাড়ি বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ মাস্টারপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম রোস্তম আলী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগরীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছে, সরকারের নীতিমালা ভঙ্গ করে তিনি একইসঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এতে তিনি প্রতারণা করে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭১ টাকা অতিরিক্ত বেতন তুলে আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে জানতে মতিহার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান “তার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, আমি বাগমারা উপজেলার আদর্শ মহিলা টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষকের চাকরি থেকে অনেকদিন আগে পদত্যাগ করেছি, বর্তমানে আমিসহ আমার প্রতিষ্ঠানের কেউ বেতন পায় না। আমাকে হয়রানি করার জন্য এই মামলাটি দুদক করেছে, আমি আইনের আশ্রয় নিব”।