অনলাইন ডেস্ক : কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ধর্ষণকাণ্ডে মাত্র ৪১ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাত মাসের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজীব ঘোষালকে সোমবার আদালত দোষী সাব্যস্ত করে এবং মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে।
বিচারক এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হিসেবে চিহ্নিত করে দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বড়তলা থানা এলাকার ফুটপাতে শুয়ে কাঁদছিল সাত মাসের এক শিশু। তার গোপনাঙ্গে একাধিক ক্ষত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
তদন্তে জানা যায়, ওই দিনই শিশুটির বাবা-মা থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাদের ফুটপাতের বাসস্থান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে শিশুটিকে ভয়ংকর অবস্থায় পাওয়া যায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২), ৬৫(২) এবং শিশু সুরক্ষা আইনের (পকসো) ৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করে। রাস্তার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত রাজীব ঘোষালকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে গেট প্যাটার্ন মেথড ও রাইট ব্লকার সিস্টেম ব্যবহার করে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণের তথ্য সংগ্রহ করে।
মাত্র ২৬ দিনের মাথায় পুলিশ চার্জশিট পেশ করে। এরপর দ্রুত বিচার পর্ব শেষ হয় এবং ৪১ দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্কশাল আদালত দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। বিচারক এই নৃশংস ঘটনাকে সমাজের জন্য ভয়াবহ বার্তা বলে উল্লেখ করেন এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।