অনলাইন ডেস্ক : স্মুদি শরীরের জন্য ভাল এতে কোনও সন্দেহই নেই, তবে কী কী মিশিয়ে স্মুদি বানাচ্ছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানেন না, স্মুদি বানানোর নিয়ম আছে। যা খুশি মিশিয়ে বানিয়ে ফেললেই হল না।
স্মুদিতে কী কী মেশাবেন বা কী নয়?
ওজন কমানো হোক বা শরীর ‘ডিটক্স’ করতে— অনেক পুষ্টিবিদই স্মুদি বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। নানা রকম ফল বা সব্জি পিষে তার সঙ্গে বাদাম অথবা বীজ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান অনেকেই। স্মুদি শরীরের জন্য ভাল এতে কোনও সন্দেহই নেই, তবে কী কী মিশিয়ে স্মুদি বানাচ্ছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানেন না, স্মুদি বানানোর নিয়ম আছে। যা খুশি মিশিয়ে বানিয়ে ফেললেই হল না। এতে হিতে বিপরীত হবে। শরীর ডিটক্স তো হবেই না, উল্টে আরও বেশি টক্সিন জমতে থাকবে।
পুষ্টিকর স্মুদি বানাতে হলে কোনটির সঙ্গে কোনটি মেশাবেন ও কী পরিমাণে, তা জেনে রাখা ভাল। ফুড কম্বিনেশনের মতো ‘স্মুদি কম্বিনেশন’ বলেও একটি বিষয় আছে। পুষ্টিবিদেরা প্রায়ই বলেন, সেই নিয়ম মেনেই স্মুদি বা ডিটক্স পানীয় বানানো দরকার। সেটি কী রকম জেনে নিন।
স্মুদিতে কী কী মেশালে তা ক্ষতিকর?
১) ফলের সঙ্গে সব্জি মিশিয়ে স্মুদি বানালে তা বদহজমের কারণ হতে পারে। তা ছাড়া ফল, সব্জি, দুধ বা দই একসঙ্গে মেশানো যাবে না।
২) সব্জির সঙ্গে কোনও রকম ফলই মেশাবেন না। ফলের স্মুদি আর সব্জি দিয়ে বানানো স্মুদি আলাদাই হয়। দু’রকম ফাইবার মেশালে তা পেটে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো বাড়বেই, সোরিয়াসিস, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের মতো চর্মরোগও দেখা দিতে পারে।
৩) টক জাতীয় ফলের সঙ্গে এমনি ফল মিশিয়ে স্মুদি বানাবেন না। এতে খাদ্যনালিতে সংক্রমণ হতে পারে, অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়তে পারে।
৪) দুধ ও দই একসঙ্গে কখনওই মেশাবেন না। আবার ঘরে পাতা টক দইয়ের সঙ্গে গ্রিক ইয়োগার্টও মেশাতে যাবেন না। এই মিলমিশ অ্যালার্জি জনিত রোগের কারণ হতে পারে।
কী কী মেশাবেন?
১) যে কোনও একটি বা দুটি একই গোত্রের ফল মিশিয়ে স্মুদি বানালে তা স্বাস্থ্যকর হবে।
২) ফলের সঙ্গে বাদামের দুধ মেশানো যেতে পারে। এই মিলমিশ পুষ্টিকর।
৩)ফলের স্মুদিতে ড্রাই ফ্রুট্স মেশানো যেতে পারে, তবে দই বা দুধ একেবারেই নয়।
৪) দুধ দিয়ে স্মুদি বানাতে চাইলে, তার সঙ্গে কেবল ড্রাই ফ্রুটস মেশান।
৫) দইয়ের স্মুদি বানাতে হলে তার সঙ্গেও ড্রাই ফ্রুট্স মেশানোই স্বাস্থ্যকর।