অনলাইন ডেস্ক : অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে অম্বলে ভোগান্তি বেশি হয়। তখন মনে হয়, শোয়ার পরেই সমস্ত খাবার গলা দিয়ে উঠে আসছে। এই সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ওষুধ খেয়েও তেমন লাভ হয় না।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যাঁদের বেশি হয়, তাঁরা জানেন বেশির ভাগ সময়েই রাতে খাওয়ার পরে শোয়ার আগে গলা-বুক জ্বালা করে। বিশেষ করে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে অম্বলে ভোগান্তি বেশি হয়। তখন মনে হয়, শোয়ার পরেই সমস্ত খাবার গলা দিয়ে উঠে আসছে। এই সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ওষুধও খান মুঠো মুঠো। তাতে সাময়িক ভাবে কষ্ট লাঘব হলেও, দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়া যায় না। তা হলে উপায় কী?
এই সমস্যার সমাধান করতে পারে এলাচ। অবাক লাগলেও সত্যি। হাজার রকম ওষুধেও যে কাজ হয় না, তা হেঁশেলের এই চেনা উপকরণ দিয়েই হওয়া সম্ভব। এলাচের বহু গুণ। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচে প্রায় ৩০০ কিলো ক্যালোরি থাকে। সেই সঙ্গে প্রোটিন থাকে ১১ গ্রাম, ফাইবার প্রায় ২৮ গ্রাম। সেই সঙ্গেই পাইরিডক্সিন, রাইবোফ্লোভিন, থিয়ামাইন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ়, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজও থাকে। ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর এলাচ পুষ্টিগুণে এগিয়ে অনেকটাই।
এ বার আসা যাক স্বাস্থ্যের দিকে। রাতে খাওয়ার পরে একটি গোটা এলাচ চিবিয়ে খেলে বা এলাচ ভেজানো জল খেলে অম্বলের সমস্যা কম হবে। এলাচে এমন উপাদান রয়েছে, যা শরীরে জমা টক্সিন বা দূষিত পদার্থ দূর করতে পারে। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতাও বাড়াতে পারে। এলাচ খেলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে, তার জন্যও উপকারী হতে পারে এলাচ।
শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগ সারাতে এলাচ সিদ্ধহস্ত। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, এলাচ ও লবঙ্গ ফোটানো জল দিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা অনেক কমে যায়। এলাচ ফুটিয়ে সেই চা খেলে সর্দিকাশির সমস্যাও কমে। ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত, মাড়ি থেকে রক্তপাত রুখতে পারে এলাচ। এর মধ্যে থাকা এসেনশিয়াল অয়েল মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। তাই রাতে শোয়ার আগে একটি করে এলাচ খেয়ে দেখতেই পারেন।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। সকলের শরীর সমান নয়। তা ছাড়া অনেকের অ্যালার্জি জনিত সমস্যাও থাকে। তাই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ না নিয়ে কোনও কিছু খাওয়া ঠিক হবে না।