স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে চাই।
আজ দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নবনির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার তৎপর আছে। তিনি সরকারের এ উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সকলকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।
ড. খালিদ বলেন, সরকার চায় আমাদের সমাজ অপরাধমুক্ত সমাজ হোক। দেশে ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটুক। সকলের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিরাজ করুক। অন্তরে হিংসা থাকলে মানবিক গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়। অন্তরকে পবিত্র রাখতে পারলে এদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি আগামী দিনে একটি বৈষম্যমুক্ত ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সকল ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মসজিদ আবাদের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, মসজিদ ফেলে রাখলে হবে না। মসজিদ আবাদ করতে হবে, নামাজ পড়তে হবে। সমাজে নামাজী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আফছার উদ্দিন, নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাজ্জাদুল হাসান ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা একই জেলার লালপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য যে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ৯ হাজার টাকা। এটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলো গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ মডেল মসজিদে একসাথে ৯২০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। এ মসজিদে আলাদা প্রবেশপথসহ ১২০ জন মহিলার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে চলতি মাসে সারাদেশে মোট ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে। এর ফলে ফেব্রুয়ারি শেষে উদ্বোধনকৃত মসজিদের সংখ্যা দাড়াবে ৩৫০টি।