অনলাইন ডেস্ক : আইনি সহযোগিতার কথা বলে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক মো. শাহরিয়ার কবির সজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সজলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রিফাত আল আফসানী। এসময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। তবে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানি পরে হবে বলে জানান।
এর আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভাটারা থানার নিজ বাসা থেকে সজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ২০ বছর বয়সী তরুণীর বিয়ে হয়। পরে তিনি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। ২০২২ সালে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে তিনি ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী তার কিংবা তার ছেলের ভরণপোষণ না দেন না। এজন্য তিনি তার বিরুদ্ধে একটি ভরণপোষণ মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে গত বছরের ডিসেম্বরে আসামি সজলের সঙ্গে তার ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। তখন সজল নিজেকে রংপুর বিভাগের মানবাধিকার প্রধান বলে জানান। এতে তিনি বিশ্বাস করে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের বিস্তারিত ঘটনা বলেন। পরে আসামি সজল তাকে আশ্বস্ত করে যে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে সাহায্য করাসহ ন্যায্য অধিকার আদায় করে দেবেন। পরে তার সঙ্গে ওই তরুণীর পারিবারিক বিষয় নিয়ে একাধিকবার মোবাইল ফোনে আলাপ হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী পাবনা থেকে ঢাকায় তার বড় ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে আসেন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় মামলা করার জন্য সব কাগজপত্রসহ তরুণীকে তার ঢাকার বাসায় যেতে বলেন। তার কথামতো যাবতীয় কাগজপত্র ও দুই বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন দুপুর দেড়টায় ভাটারা থানার পশ্চিম নুরেরচালা মৈত্রী রোডের বাসার সামনে পৌঁছান। তখন আসামি সজল ওই তরুণীকে তার বাসার নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। একটি কক্ষে তার ছেলের হাতে আইসক্রিম ও চকলেট দিয়ে আটকে রাখেন। আরেকটি কক্ষে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই যুবক ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করাসহ হুমকি দিয়ে তার বাসা থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর ওইদিন দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী ভাটারা থানায় মামলা করেন।