অনলাইন ডেস্ক : রোজের ব্যবহারের এমন কিছু জিনিস আছে, যা থেকে অজান্তেই দূষণ ছড়াচ্ছে ঘরে। বাতাসে মিশছে নানা ক্ষতিকর রাসায়নিকও। কমবেশি সকলের বাড়িতেই এই জিনিসটি ব্যবহৃত হয়।
বাইরের দূষণ নিয়ে যতই হইচই হোক না কেন, ঘরের ভিতরের বাতাসও যে সুরক্ষিত নয়, তা জানেন কি? ঘরের ভিতরের দূষণ নিয়ে এখন নানা আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ঠিক কোন কোন জিনিস থেকে ঘরের বাতাস দূষিত হচ্ছে, তা জানা নেই অনেকেরই। সকলেই ভাবেন, কেবল ধূমপান করলে বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র থেকে ঘরের ভিতরের বাতাস দূষিত হতে পারে। তা কিন্তু নয়। রোজের ব্যবহারের এমন কিছু জিনিস আছে, যা থেকে অজান্তেই দূষণ ছড়াচ্ছে ঘরে। বাতাসে মিশছে নানা ক্ষতিকর রাসায়নিকও। কমবেশি সকলের বাড়িতেই এই জিনিসটি ব্যবহৃত হয়। সেটি কী?
ফ্যাব্রিক কন্ডিশনার বা সফ্টনার। কাপড় কাচার পরে যে সুগন্ধি তরল দিয়ে জামাকাপড় ধুয়ে নেন, সেটিই নাকি ঘরের ভিতরের বাতাসকে দূষিত করছে। অনেকের বাড়িতেই কিন্তু এর ব্যবহার আছে। আর বাড়িতে বলে নয়, লন্ড্রিতেও এমন তরল দিয়েই জামাকাপড় কাচা হয়। এটি ব্যবহার করলে, জামাকাপড়ের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ চলে যায়, কাপড় অনেক নরমও হয়। কিন্তু ওই সুগন্ধিই আসলে নানা রকম দূষণের উৎস।
কেন এমন বলা হচ্ছে?
এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা চলছে। আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, কাপড়া কাচার তরল সুগন্ধি সাবানে থ্যালেটের মতো রাসায়নিক থাকে, যা বাতাস বাহিত হয়ে শরীরে ঢোকে ও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি বেশি পরিমাণে নাক-মুখ দিয়ে ঢুকলে ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে। এর জেরে মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, এমনকি ত্বকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গবেষণাগারে এমন পাঁচ রকমের ফ্যাব্রিক কন্ডিশনার নিয়ে পরীক্ষাটি চালানো হয়। ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে দেখা যায়, প্রতিটি ইঁদুরই শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, কেবল থ্যালেট নয়, ফ্যাব্রিক কন্ডিশনারে যে সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়, তাতে বেঞ্জাইল অ্যাসিটেট, ইথানলের মতো রাসায়নিক থাকে, যা থেকে অ্যালার্জি ও হরমোনের সমস্যা হতে পারে।
তা হলে বিকল্প উপায় কী হতে পারে?
রাসায়নিক দেওয়া সুগন্ধির বদলে ভিনিগার ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিনিগার হল স্বাভাবিক কন্ডিশনার, যা জামাকাপড়ের গন্ধ দূর করতে পারে।
বেকিং সোডা দিয়ে জামাকাপড় ধুলেও তা পরিষ্কার হবে, আবার নরমও থাকবে। সুগন্ধি তরলের ভাল বিকল্প হতে পারে বেকিং সোডা।