অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুট হয়েছে দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ী
রোববার রাত ১১টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম আনোয়ার হোসেন (৪৩)। ‘অলংকার জুয়েলার্স’ নামে তাঁর একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।
ঢামেকে আহত অবস্থায় আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অলংকার নামে আমার জুয়েলারি দোকান আছে। রাতে দোকান বন্ধ করে দুইশ ভরি স্বর্ণ ও এক লাখ টাকা নিয়ে বাসার গেটে আসি। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে প্রায় সাতজন আমার কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে আমার সাথে থাকা স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বনশ্রী থেকে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছে। জরুরি বিভাগে তাঁর চিকিৎসা চলছে।’
ওই বাসার তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) পিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আনোয়ারের চিৎকার শুনে আমরা সবাই বের হওয়ার চেষ্টা করি। পরে গুলির শব্দ পাওয়ায় কেউ আর সাহস করেনি। মোটরসাইকেল চলে যাওয়ার পর রাস্তায় নেমে সবাই তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।’
স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী রায়হান হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও স্বাভাবিকভাবে দোকান বন্ধ করতে বলে মালিক আনোয়ার হোসেন বাসার দিকে রওনা দেন। তাঁর বের হওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পরে তিনিসহ আরেকজন বের হন। পরে বাসার গলিতে ঢুকতেই চিৎকার শুনতে পান এবং তিনটি মোটরসাইকেল দ্রুত বেরিয়ে যেতে দেখেন।
রায়হান আরও বলেন, রাতে দোকানের সামনে সন্দেহভাজন কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেননি তিনি।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনটি মোটরসাইকেলে মোট সাতজন ব্যক্তি। একটি বাসার সামনে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন তিনজন। ভুক্তভোগী চিৎকার করছেন। এরই মধ্যে দুর্বৃত্তদের একজন ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
পরে ভুক্তভোগী গুলিবিদ্ধ হয়ে সড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। অপরদিকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে আসা সাতজনও পালিয়ে যায়। এর আগে দুর্বৃত্তদের একজনকে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে রামপুরা থানা-পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত আতাউর রহমান বলেন, ‘একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেটা দেখে কিছুটা ধারণা করা যাচ্ছে। তা ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজেও পাওয়া যাবে। আশা করি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারব।’-আজকের পত্রিকা