ফরিদপুর প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিপীড়ন করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদপুর জেলা পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে তাকে ভাঙ্গা থানা থেকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের মেট্রোপলিটন থানা থেকে বদলি হয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর থানায় হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আওয়াল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ২৬। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলী, হবিগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, পরিদর্শক বদিউজ্জামান, হবিগঞ্জ সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম সহ ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে ১৮ জনই পুলিশ সদস্য।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপির ওই নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং হামলা চালান। পাশাপাশি তাঁরা গুলিবর্ষণ করতে থাকলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছের বাসায় আক্রমণ করে গুলি ছুড়তে থাকেন। তাঁরা বাসার একটি কক্ষের জানালা ভেঙে সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আওয়ালকে গুলি করেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলা করেছেন।