স্টাফ রিপোর্টার : সবজি বিক্রেতা ফাতেমা বেগম ঋণ নিয়েছিলেন জনকল্যাণ মানব উন্নয়ন সংস্থা থেকে। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় ব্যবসা বন্ধ রয়েছে তাঁর। ফলে ঋণের দুটি কিস্তি দিতে পারেননি। এরপর রোববার সকালে কিস্তির টাকা না পেয়ে উঠানে বেঁধে রাখা ছাগল নিয়ে যান ওই সংস্থার কর্ম
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী এলাকায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ছাগলটি ফেরত দিতে বাধ্য হয় প্রতিষ্ঠানটি।
ফাতেমা বেগম জানান, তিনি নগরের হাদির মোড়ে সবজি বিক্রি করেন। ব্যবসার জন্য ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে ৪ হাজার টাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি দুর্ঘটনায় তিনি কোমরে আঘাত পান। ফলে ব্যবসা করতে পারছেন না। তাই দুটি কিস্তি বকেয়া পড়েছে। এর ফলে তাঁর বাড়ি থেকে ছাগল নিয়ে যান সংস্থাটির কর্মী।
ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আজ সেহরি খেয়ে পাশে বোনের ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। সকালে ওই সংস্থার মাঠকর্মী কিস্তি আদায়ের জন্য আসেন। আমাকে না পেয়ে বাড়িতে বেঁধে রাখা একটি ছাগল নিয়ে চলে যান। যদিও ছাগলটি আমার নয়।’
রোববার দুপুরে ওই সংস্থার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ছাগল ফেরত নিতে ফাতেমা ও ছাগলের মালিক রিসা বেগম সেখানে গেছেন। এ সময় রিসার সঙ্গে সংস্থাটির কর্মকর্তা নাসিরুল্লাহ কবীরের তুমুল বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। পরে ওই ছাগল রিসা বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংস্থাটি দুই বছর ধরে ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু এর মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির কোনো নিবন্ধন নেই। সংস্থাটি চলছে শুধু সমবায় সমিতির ছাড়পত্র দিয়ে। তারা এলাকার মানুষকে ঋণের ফাঁদে ফেলে চড়া সুদ আদায় করছে। কার্যালয়ের সামনে নেই কোনো সাইনবোর্ড।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে সংস্থার কর্মকর্তা নাসিরুল্লাহ কবীর কোনো মন্তব্য না করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।
জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন ইসলাম বলেন, জনকল্যাণ মানব উন্নয়ন সংস্থা নামের তাদের নিবন্ধন দেওয়া কোনো সংস্থা আছে কি না, তা দেখে বলতে পারবেন। কিস্তি দিতে না পারায় ছাগল আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করতে পারেন।