অনলাইন ডেস্ক : বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তন্ময় শ্রীবাস্তব। উত্তর প্রদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও ছিলেন। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়া হয়নি তন্ময়ের। কোহলির বিশ্বকাপজয়ী সাবেক সেই সতীর্থ এবার ভিন্ন ভূমিকায় আইপিএলে ফিরছেন। তাকে দেখা যাবে আম্পায়ারের দায়িত্বে।
আগামী ২২ মার্চ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পর্দা উঠবে আইপিএলের অষ্টাদশ আসরের। যেখানে আইপিএলের সাবেক কোনো খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমবার কেউ আম্পায়ারিং করতে নামবেন। ২০২০ সালে পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তন্ময়। এর আগে পাঞ্জাব কিংসের জার্সিতে খেলেছিলেন দুটি মৌসুম। তার প্রথম শ্রেণির পরিসংখ্যানও বেশ ভালো। ৯০টি ম্যাচে তিনি ৪৯১৮ করেছিলেন। ২০০৮ যুব বিশ্বকাপ জয়ের আসরে ৬ ম্যাচে ৫২.৪০ গড়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করেন তন্ময়।
পেশাদার ক্রিকেটকে ৫ বছর আগে বিদায়ের পরপরই ম্যাচ অফিসিয়ালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন কোহলির সাবেক এই সতীর্থ। এতদিন পরিচালনা করেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ। প্রথমবার তন্ময় শ্রীবাস্তব জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘সত্যিকারের খেলোয়াড় কখনও মাঠ ছেড়ে যায় না— শুধু খেলা পরিবর্তন হয়। একই আবেগ নিয়ে নতুন ক্যাপ মাথায় নিয়ে নামতে যাওয়া তন্ময় শ্রীবাস্তবকে শুভকামনা।’
নতুন ভূমিকায় আবারও তার দেখা হয়ে যেতে পারে কোহলিসহ সাবেক সতীর্থ ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এর আগে যুব বিশ্বকাপের পর কোহলির মতো আইপিএলের দরজা খুলে যায় তন্ময়ের সামনেও। তবে ২০০৮ ও ২০০৯ আসরে মোটে ৭ আইপিএল ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় তার। ডেকান চার্জার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব শিবিরে থেকেও নজর কাড়তে না পারায় শেষ হয়ে যায় তন্ময়ের আইপিএল ক্যারিয়ার। কোহলি পরে জাতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও তন্ময় কখনও সিনিয়র দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাননি।
উত্তরপ্রদেশের বাঁ-হাতি এই ব্যাটার মাত্র ৩০ বছর বয়সেই খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে আম্পায়ারিংয়ে ক্যারিয়ার তৈরিতে মনোনিবেশ করেন এবং সফলও হন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে আম্পায়ারিং করেই তন্ময় এবার ঢুকে পড়েন আইপিএলের আঙিনায়। এবার কোহলিদের ম্যাচ পরিচালনায়ও থাকতে পারেন তিনি।